ফেসবুক আজ মেধা বিকাশে বাধা

ফেসবুক কে ছোটবেলায় খেলনা নোকিয়া ফোনের সাপ খেলার মতো মনে হতো। কারণ এটি একের পর এক মানুষদের সংযুক্ত করছে এবং আকারে বড় হচ্ছে।
আজ-কাল কারও ফেসবুক একাউন্ট না থাকলে তাকে এলিয়েনদের কাতারে ফেলানো হয়। ফেসবুক এখন আমাদের নিত্য দিনের সঙ্গী। তবে স্বভাবতই কিছু প্রশ্ন সৃষ্টি হচ্ছে যে, এটা আমাদের জীবনের জন্য কতটা উপকারী?
প্রতেকটা জিনিস এর ই ভালো -খারাপ সব দিকই রয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় কোন কিছু বেশি ব্যবহার করাকে আসক্তি বলে ।এই আসক্তির মাত্রা খুব বেশি হলে ব্যক্তিগত কিংবা সামাজিকগত বাধা সৃষ্টি হতে পারে। আজকাল আমাদের অনেকের বাবা -মার ধারণা যে ফেসবুক, মোবাইল ফোন ব্যবহার পড়াশোনা ক্ষতির একমাত্র মূল কারণ।
সাম্প্রতিক ৭ লাখের ও বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারীদের থেকে গবেষণায় জানা গেছে যে যদি তাদের টাইমলাইনে ইতিবাচক কোন বিষয় থাকে তাহলে তাদের চিন্তাভাবনা ও ইতিবাচক হয়।আর অন্য দিকে তাদের নেতিবাচক বিষয়গুলো নেতিবাচক করতে সাহায্য করে।
আসল কথা হলো ফেসবুক বা মোবাইল ফোন কে আমরা যে যেভাবে চালাব সেগুলো সেভাবেই ব্যবহার হবে। আমরা আমাদের চিন্তাভাবনাগুলো ফেসবুকের সাথে মিলিয়ে ফেলছি। আমাদের বাবা-মা অথবা অন্য মানুষরা নিজের জীবনের সাথে এক করে ফেলছে। তাই তারা অনেক সময় মিথ্যা সংবাদ বা তথ্য দেখে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে।
আমরা কোন জিনিস কে কিভাবে ব্যবহার করব সেটা একেক মানুষের চিন্তাধারা হবে একেক রকম। অনেকের মতো আমার বাসা থেকেও আমাকে ফোন ব্যবহার করতে দেয়া হচ্ছিলো না, ফেসবুক ব্যবহার করতেও নিষেধ ছিলো। তবে আমি যখন আমার বাসায় বুঝালাম যে এখন আমরা যে কোন কিছুর তথ্য সবার আগে ফেসবুকে পেয়ে যাচ্ছি। এর জন্য আমাদের খুব বেশি টিভি দেখার প্রয়োজন পরেনা। তখন আমার মা বললেন, ঠিক আছে তবে খুব কম সময়ের জন্য ব্যবহারের অনুমতি মিললো।
আজকাল অনেকে ইন্টারনেট ব্যবহার বলতে ফেসবুকের বাহিরে কিছু চিন্তাই করতে পারেনা। অনেকের বন্ধু -বান্ধবীরা বলে আমি সারাদিন আজ ইন্টারনেট চালিয়েছি। তবে ভুল- ওরা আসলে ফেসবুক চালিয়েছে। ফেসবুকে অ্যানোনিমাস ব্রাউজিং কাজ করেনা তাই আমরা যে কারও ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে নাড়া-চাড়া করতে পাচ্ছি।
সঠিকভাবে সব কিছু ব্যবহার করলে কোন কিছুর ই খারাপ দিকগুলো বেশি উঠে আসবেনা বলে আমার ধারণা।
আজ আমাদের দেশের সব মানুষ যদি দেশের কল্যাণের জন্য কিছু ভাবে তবেই আমরা বিদেশিদের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারব। Time is valuable for us. তাই আমাদের সময়ের সাথে নিজেদের কেও অনেকটা আধুনিক করে তুলতে হবে এবং সব কিছুর ভালো ব্যবহার করতে হবে। আমি আমার দেশের মানুষের এসব ভ্রান্ত ধারণা গুলোকে বদলানোর চেষ্টা করব। কারন আজকের শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।
সামিয়া তাসনিম (প্রেমা)
নব্যদিপ্তী -শুদ্ধ চিন্তায় তারুণ্য