বিজয়ের ৫০ বছরে বগুড়ার প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি

ষাটের দশকে বগুড়া জেলা শিল্পনগরী হিসেবে পরিচিতি লাভ করলেও হারিয়েছে সেই বৈচিত্র্য। নানা সংকটে বিভিন্ন সময় বন্ধ হয়েছে কলকারখানা। অনেকেই হারিয়েছেন কর্মসংস্থান। যদিও নতুন করে কেউ কেউ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। ফলে বিজয়ের ৫০ বছরের ব্যবধানে বগুড়া ফিরে পেতে শুরু করেছে হারানো গৌরব।
শিল্প নগরী হিসেবে বগুড়ার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে গত শতাব্দীর ষাটের দশকে। গড়ে ওঠে বস্ত্রখাতের অন্যতম বৃহৎ কারখানা কটন স্পিনিং মিল। সেখানে কয়েক হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান হলেও নানা সংকটে কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়।
শুধু কটন স্পিনিং মিল নয়, গড়ে ওঠে স্টিল, গ্লাস ও সিরামিকসহ আরো অনেক কারখানা। নগরীকে আরো সমৃদ্ধ করতে উদ্যোগ নেয়া হয় ছয়পুকুরিয়া ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠানের। কিন্তু তাও আর আলোর মুখ দেখেনি।
রয়েছে আরো অনেক প্রতিবন্ধকতা। নানা জটিলতায় আটকে গেছে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি দেয়া ইকোনোমিক জোনের কাজ। এখনো শুরু হয়নি বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ নির্মাণ আর রানওয়ের অভাবে চালু হয়নি বিমান বন্দর। ভারী শিল্প আর টেলিভিশন স্টেশনের ভিত্তিপ্রস্তরও পড়ে আছে প্রতিশ্রুতির স্বাক্ষী হিসেবে।
তবে বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুকে ঘিরে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে শুরু করেছেন শিল্প-উদ্যোক্তারা। জেলার বিভিন্ন প্রকল্প এখনো আটকে আছে প্রশাসনের অনুমতি, স্থান নির্ধারণ, নকশা প্রণয়ন আর অনুমোদনের অপেক্ষায়।