নতুন সংক্রমণ সঙ্কটে যুক্তরাজ্য, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

যুক্তরাজ্যে করোনা ভাইরাসের নতুন ধরনের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় দেশটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করছে ইউরোপসহ আরব দেশগুলো। সংক্রমণ এবং মৃত্যু এড়াতে যাত্রীবাহী ফ্লাইটসহ স্থলপথেও যোগাযোগ বন্ধ করে দিচ্ছে বিভিন্ন দেশ।
যেই দেশগুলো এখন পর্যন্ত ব্যবস্থা নিয়েছে:
যে কোন মূল্যে কোভিড-এর নতুন উপসর্গ মোকাবিলায় সবার আগে পদক্ষেপ নিয়েছে কানাডা। তিনদিনের জন্য যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ফ্লাইট বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কানাডার স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ফ্রান্স, জার্মানি এবং ইতালিও ব্রিটেনের সঙ্গে সবধরনের বিমান যাত্রা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে। পাশাপাশি দেশটির সঙ্গে ট্রেন যাত্রাও স্থগিত করে এই তিন দেশ।
ডেনমার্কও যুক্তরাজ্য থেকে যে কোন বিমান আসায় ৪৮ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। স্থানীয় সময় সোমবার (২১ ডিসেম্বর) থেকে এটি কার্যকর হয়। একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডও। প্রাথমিকভাবে দুই দিন বিধিনিষেধ জারি থাকার কথা জানিয়েছে তারা।
রোববার (২০ ডিসেম্বর) মধ্যরাত থেকে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ফ্লাইট ও ট্রেন বন্ধ থাকার ঘোষণা দিয়েছে বেলজিয়াম। পূর্ব-সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।
যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ফ্লাইট বাতিলের পরিকল্পনা নিচ্ছে অস্ট্রিয়াও। অপরদিকে স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের ভিত্তিতে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ফ্লাইট বন্ধের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। ইউরোপের আরেক দেশ সুইডেনও অস্ট্রিয়ার সঙ্গে সুর মিলিয়েছে।
আর্জেন্টিনা, চিলি, কলম্বিয়া, লাটভিয়া, এস্তোনিয়াও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। অন্যদিকে, হংকং, ইসরাইল, ইরান, ক্রোয়েশিয়া, মরক্কো, কুয়েত ব্রিটেনে ভ্রমণে বিধিনিষেধ দিয়েছে। আরব দেশের মধ্যে সৌদি আরব সব ধরনের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে। এ অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন বহু মানুষ।
কোভিড-এর নতুন ধরনের সংক্রমণ রোধে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী জরুরি বৈঠকে বসেছেন তার মন্ত্রীদের সঙ্গে।