করোনার সুরক্ষা-বর্জ্য থেকে পরিবেশবান্ধব ইট

বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে অনেক বিশেষ সামগ্রীর সঙ্গে পরিচিত হয়েছে সাধারণ মানুষ। তার অন্যতম ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী- পিপিই, ফেস শিল্ড, মাস্ক প্রভৃতি। এই সামগ্রীগুলো আগে শুধু চিকিৎসকরা ব্যবহার করলেও ভাইরাসটির সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বিশ্বে এর গণব্যবহার শুরু হয়েছে। এগুলো ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করলেও নতুন উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সুরক্ষাসামগ্রীগুলো ব্যবহারের পর এ থেকে লাখ লাখ টন বর্জ্য জন্ম নিচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য ভয়াবহ হুমকির কারণ। বিষয়টি অনেকের মতো ভারতের গুজরাটের বাসিন্দা বিনিশ দেশাইকেও ভাবিয়েছে। বর্জ্যগুলোকে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করে খুব সহজেই সমস্যাটির সমাধান বের করেছেন তরুণ এ বিজ্ঞানী। বিশ্বকে রীতিমতো অবাক করে এসব বর্জ্য থেকে তৈরি করেছেন পরিবেশবান্ধব ইট।
নিজেকে পরিবেশবিদ এবং পশ্চিম ভারতের উদ্ভাবক হিসেবে দাবি করে বিনিশ দেশাই বলেন, ‘আমি জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে উদ্বিগ্ন মানুষদের মধ্যে অন্যতম। যখন দেখলাম করোনার কারণে বহু বর্জ্য পরিবেশের ওপর অতিরিক্ত বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে তখন ভাবতে শুরু করলাম, কীভাবে এগুলো পুনরায় ব্যবহার করা যায়। তখনই বিভিন্ন স্থান থেকে সুরক্ষাসামগ্রীর বর্জ্যগুলো সংগ্রহ করে ইট বানানোর জন্য পরীক্ষা চালাই।’ তার তৈরি প্রতিটি ইটে ব্যবহার হচ্ছে ৫২ শতাংশ সুরক্ষাসামগ্রীর বর্জ্য, তিন শতাংশ বাইন্ডার এবং ৪৫ শতাংশ কাগজ-জাত বর্জ্য। সব থেকে বড় কথা এই ইটগুলো অদাহ্য, রয়েছে পানি-প্রতিরোধকারী ক্ষমতা। এমনকি পোকামাকড়ও ক্ষতি করতে পারবে না ইটগুলোর।
তবে এটাই প্রথম ঘটনা নয়। এক দশক আগে ২০১০ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে বিনিশ দেশাই উঠে এসেছিলেন খবরের কাগজের প্রথম পাতায়। আঠা এবং শিল্পজাত কাগজ থেকে ইট তৈরি করে চমক লাগিয়েছিলেন তিনি। ফলে তার নামের শুরুতে যোগ হয়েছিল ‘রিসাইকেলম্যান’। এবারও গুরুতর এ সমস্যার সমাধান করে তিনি সেই কথাই আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন। সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট।