করোনা সংক্রমণ জানুয়ারির শেষে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর শঙ্কা

আর একদিন। বিদায় নেবে বিভীষিকাময় দু’হাজার বিশ। তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে আরেকটি নতুন বছরের আগমনেও সুখবর নেই।
বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতির পূর্বাভাস বিষয়ক বিশেষজ্ঞ দল বলেছে, সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছতে পারে জানুয়ারির শেষে অথবা ফেব্রুয়ারির শুরুতে। তখন প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া লাগতে পারে ছয় থেকে আট হাজার রোগীর। পরিস্থিতি সামাল দিতে তৈরি থাকার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
নভেম্বরের শুরু থেকে ফের বাড়তে থাকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে আবার কিছুটা কমতির দিকে। সংক্রমণ উঠা-নামার মধ্যে থাকলেও গবেষকদের পূর্বাভাস- নতুন বছরের প্রথম মাসের শেষে কিংবা দ্বিতীয় মাসের শুরুতেই শীর্ষবিন্দুতে পৌঁছতে পারে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাফিউন নাহিন শিমুল জানান,’ধারণা করছি প্রতিদিন ১৪হাজার আক্রান্ত শনাক্ত হতে পারে। তারমধ্যে প্রতিদিন সাত থেকে আট হাজার হাসপাতালে ভর্তি হতে পারে।’
মহামারি মোকাবিলায় সরকারের সব প্রতিষ্ঠানকে একযোগে কাজ করার ওপর জোর দিয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন-সংক্রমণের রাশ টানতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার বিকল্প নেই।
সরকার নিয়োজিত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা দলের সদস্য ড. আবু জামিল ফয়সাল বলেন,’মাস্ক পরতে হবে, হাত ধুতে হবে, ভিড়ে যাওয়া যাবে না। সরকারের সকল মন্ত্রণালয়ের এখানে ভূমিকা রাখতে হবে।’
পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৈরি থাকার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ডা. হাবিবুর রহমান জানান,’আমাদের হাসপাতাল বেড, আইসিইউ বেড, হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা সেগুলি দিয়ে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম বলে মনে করি।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সহসাই নির্মূল হচ্ছে না করোনা। ড. শাফিউন নাহিন শিমুল আরও জানান,’জুন-জুলাই পর্যন্ত সংক্রমণ বাড়তে থাকবে। তবে মাত্রা কমে আসবে।’
এদিকে, ড. আবু জামিল ফয়সাল আরও বলেন,’একুশ সালে তো ভ্যাকসিন আসবে, সেটার তো একটা প্রভাব থাকবে। একুশের শেষে হয়তো আমরা দেখতে পারবো দমনের পর্যায়ে।’
টিকার আশায় না থেকে দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।