পরিবারের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য তাদের বেঁধে রেখেছে। জীবনে চলতে কোন সময় সে নিজের জন্য চলেছে তার নিজেরও হয়তো মনে পরে না।তারা সাহসী, তারাই পরিবারের শক্তি। তারা প্রেরণা, তারাই অাত্মত্যাগী। তাদের সম্পর্কে যত বলা হবে ততোই কম হবে।
তারা কারা? তারাই নর।
সময় হয়তো বদলে গেছে। যেখানে নারী,পুরুষ সবাই সমান।বর্তমানে নারীও উপার্জন করছে নরের সমানে।তবুও নারী ও একটি পরিবারের জন্য নরের ভুমিকা অপরিসীম।
নর হলো নারীর মনের সাহস। হয়তো একজন নারী নর ছাড়াও নিজের ছাদ তৈরি করতে পারে কিন্তু তিনি সবসময়ই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবেন কারণ একজন নারীর মনের প্রকৃত ছাদ হলো একজন পুরুষই।
তাদের মধ্যে থাকে এক প্রকার দায়িত্বশীলতা।তারা অর্থ অায়ই করে তাদের পরিবারের সুখের কথা ভেবে।কি ভাবে পরিবারের সবাইকে অারো একটু ভালো রাখা যায় সেই চিন্তা ও পরিশ্রম করতেই তাদের জীবন অতিবাহিত হয়। এভাবে চলতে চলতে পরিবারের সদস্যরাও তার ওপর অভিযোগ তোলে সে কেনো তাদের সময় দিতে পারে না? দিন শেষে কেনো সে বাড়ি ফিরে এসে ক্লান্ত হয়ে যায়? আমরা তাদের বুঝতে পারি না।তারা সব অভিযোগ মেনে নিয়ে তবুও আমাদের জন্যই অক্লান্ত পরিশ্রম করে। কারণ তিনি বাবা,তিনিই স্বামি বা তিনিই কারো সন্তান।তারা যাই করে আমাদের কথা ভেবেই করে।
আমরা শুধু অভিযোগ তুলতেই পারি। পারি না তাদের মন বা অবস্থা বুঝতে। আমরা হয়ে উঠি স্বার্থপর।আর তারা নিজেদের জীবন অতিবাহিতই করে দেন আমাদের আবদার,চাহিদা পুরণ করতে।আমরা ভুলেই যাই তাদের ও জীবনের শখ,ইচ্ছা রয়েছে।
কিন্তু নর মানেই তাকে সম্মান করতে হবে তা নয় কারণ সবাই সম্মানের যোগ্য নয়।এই সম্মানিয় নরজাতির মধ্যে কিছু পিশাচ সমতুল্য যারা নিজেদের সবকিছু মনে করে। নারীদের করে অবহেলা, তাদের উপর করে নির্মম অত্যাচার।নারীদের করে না সম্মান এবং তাদের মানুষ হিসাবেও গণ্য করে না। কিন্তু তারাই মানুষ হিসাবে গণ্য হওয়ার যোগ্য না।
কিন্তু তবুও তারা সমাজে মাথা তুলে সম্মানের সাথে চলাফেরা করছে।
আবার এই নরজাতি মধ্যেই এমন কিছু নর রয়েছে যারা দেব সমতুল্য। তারা তাদের সহধর্মিণী,মা,বোন অর্থাৎ নারী জাতিকে করে সম্মান ও শ্রদ্ধা।তারা নারী ও পুরুষের মধ্যে করে না ভেদাভেদ।
তবে ভালো খারাপ নিয়েই এই দুনিয়া। আমরা নারীরা নিজেদের দুঃখ মিটিয়ে হালকা হওয়ার জন্য তবুও কান্না করতে পারি কিন্তু তারা সেটা ও পারে না কারণ তার পরিবার তার সেই অবস্থা দেখলে কষ্ট পাবে।তারা ভিতরে ভাঙ্গা থাকলেও ওপরে থাকে শক্ত।তাদের কান্না করা নিষেধ এটি কি নিয়ম?
নিশ্চয় না।
তাদের সম্মান,ভালবাসা ও শ্রদ্ধা জানাই।
নূর এ জান্নাত সাজ
নব্যদীপ্তিশুদ্ধচিন্তায় তারুণ্য