Jhakkas Bangali (ঝাক্কাস বাঙ্গালী)
আজ একরাশ চিন্তা নিয়ে লিখতে বসলাম
আপনি খুতখুতে হলে সব বিষয়েই খুতখুতাবে।
ধরুন এক জায়গাতে আগুন লাগছে, আপনি ভাববেন যাই গিয়ে আগুন নেভাই, অন্য ছেলেরা ভাব্বে যাই একটা পোষ্ট দেই। আপনার গা আগুনের তাপে পুড়ে কালো হবে, আর৷ পোষ্টের রিপ্লাই দিয়ে কনভার্সেশন চালিয়ে প্রেম করে নিবে ছেলেটি।
এইটা হল মার্কেটিং পলিসি। আপনার কালো চেহারার আড়ালে ভালো মনটাকে কেউ মূল্যায়ন করবে না বরং আপনি যে খারাপ এটা প্রুভ করতে হাজারো প্রচেষ্টা থাকবে এক গোষ্ঠীর, এবং কিছু সময় তারাই আপনার তথাকথিত বন্ধু।
কালো মেয়ে, অসুন্দর মেয়ে যার দিকে কেউ তাকায় না তাদের বর কেন সুন্দর হয় বা সুন্দরী মেয়ের স্বামী কেন কুৎসিত হয় জানেন? ওই যে সুন্দর জিনিসের ডিম্যান্ড বেশি, তাই যে সুন্দর, তার অপশন বেশি এজন্য তার অহংকার বেশি আপনাকে বেল দিবে কম।
স্ত্রী সুন্দর হলে তার কথায় স্বামী উঠে বসে, স্ত্রী শুধু ব্যবহারিক জগতে সুন্দর হলে তা কেন হয় না? ওই যে দর্শনধারী।
কবি বলেছেন ” রুপে শুধু আখি ভোলে, গুনেতে হৃদয় দোলে”
কবি এটা ভাবেন নি যে, রুপ সুন্দর হলে হরমোনাল ক্রিয়া বেশি হয়,তার প্রতি ভালোবাসাও বেশি হয়। কবি আবেগ দিয়ে ভেবেছেন যাই হোক।
আপনি যতই ভালো কথা বলুন না কেন, ন্যায়ের কথা বলুন না কেন আপনার কথা গ্রহনযোগ্যতা পাবে টপিকের অপর ভিত্তি করে, ধরুন একজন বিশেষ গোষ্ঠীকে গাছের সাথে বেধে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, আপনি কিছু লিখলেন, গ্রহনযোগ্যতার ঠেলায় দাড়াতে পারবেন না।
আর অবহেলিত গোষ্ঠী? টপিক চেঞ্জ করে দেয়া হবে, বলা হবে এই জায়গাতে এসব কথা না বলাই ভাল, এসব বিষয়ে এখানে কথা না বলাই ভাল।
যুগ ভাইয়া, যুগ।
বিবেক এরোপ্লেন মুডে রেখে শুধু লাভ্রিয়্যাক্ট পাবার আশায় পোষ্ট দেয় মানুষ, সেই পোষ্টে কমেন্ট ও আশে বিবেক অফলাইনে রেখে।
আবার ধরুন আপনি একজন সুন্দর মেয়ে, এমন মেয়ে যে পাশে থাকলে আপনার দিকে মানুষ হিংসার দৃষ্টিতে তাকাবে আপনার দিকে।
কিছু ছেলের কাছে এই মেয়ের অন্যায় গুলাও ন্যায়, (এরাই তারা যারা নিজের বাবা মা কে বাসা থেকে বের করে দেয় সুন্দরী বউ এর জন্য।)
ধরুন এই মেয়েটি অন্যায় করল ছেলেটি শুধু মাত্র মেয়েটি সুন্দর জন্য এবং তাকে স্পেশাল ফিল করানোর জন্য নিজের বিবেক বিবেচনা বিক্রি করে কি পর্যায়ে নেমে যেতে পারে তা আপনি ভাবতেও পারবেন না। এসব মেয়েটাও খুব ভালোই বুঝে বাট ক্ষমতাবান ছেলে তাই তাকে কিছু বলতে পারে না, আর বিপদ হলে সাপোর্ট এর জন্যও পাশে রাখে। এত চেষ্টার পর ছেলেটি যখন ছেলেটি মেয়েটিকে খাটে তুলতে পারে না সে হয়ে যায় ধর্ষক, ওপজ করার আগে ওয়েট, রিসেন্ট রেপিষ্ট এর প্রফাইলে স্টপ রেপ কালচার ক্যাপশনে ব্লাক ডিপি দেয়া ছিল, দেখে আসেন।
দুনিয়া ক্ষমতা, লোকবল, সৌন্দর্যকে এতই মূল্যায়ন করে যে বিবেক পড়ে থাকে ডাস্টবিনে।
আপনার লোক বল নাই, ক্ষমতা নাই,
কিন্তু আপনার প্রতিবাদ করার ইচ্ছা আছে? তাইলে আপনি বোকা
বিবেক অফলাইনে না রাখলে আপনি গুম হয়ে যাবেন ভাই।
আর বোন হইলে রেপ হবেন। এটাই সর্বোচ্চ শাস্তি একটা মেয়ের। আপনি ন্যায় জেনেও মার খেয়ে যাবেন রাস্তায় আর দর্শক দেখবে বুঝবে আপনার দোষ নাই আপনি প্রতিবাদী, বলে দেবে বোকা।
আপনার বিবেক আছে, মেরে খাওয়ার ক্ষমতা নাই জন্য আপনি কখনই ভোটে উঠবেন না।
বাংগালীর প্রোগ্রামিং টা এমন করেই করা যে, ” আপনি নিঃস্বার্থ”?
আপনি বোকা,
“আপনি মেরে খেতে পারেন?”
আপনি হেব্বি চালাক।
নাইস, তালিয়া ভাইয়ো অউর বেহেনো।
আপনার জন্য অভিশাপ আপনার এই খুতখুতানি স্বভাব।
অন্যায় দেখে চুপ করে থাকা টা কষ্টকর রাতে ঘুম ই আসবেনা, নিজেকে কাপুরুষ মনে হবে। কিন্তু তারা বুদ্ধিমান যারা ” ইটস হার চয়েস” কিন্তু রাস্তায় ধর্ষণ হলে বলে ” যা হচ্ছে হোক আমার কি বাবা আমি এসবে নাই” কিন্তু তারা কখনোই পর্দায় আসে না। পর্দায় আসে যারা বোকা তারা।
বুদ্ধিমান লোক দুইদিকেই ম্যানেজ করে চলতে পারে, লোক হাতে রাখতে হলে অন্যায় সহ্য করতে হয়, তাদের অন্যায়কে সাপোর্ট করতে হয় তাইলে তাদের হাতে পাওয়া যায়। আমাকে
একজন শ্রদ্ধেয় বড় ভাই বলেছিলেন-
“মেয়েদের অন্যায় ধরিয়ে দিয়ে আপনি যতটা না পাশে পাবি, তার চেয়ে বেশি তাদের পাশে পাবি তাকে সাপোর্ট দিয়ে।”
কোন বড় ভাই বলেছিল মনে নাই,
তবে সত্যই একটা অসাধারণ উপদেশ দিয়েছিলেন তাতে সন্দেহ নাই। ভাই বিবেকহীন না, শুধু আমাকে বাস্তবতা দেখিয়েছিলেন যা আমি তখন বুঝি নি ভাইকে খারাপ ভেবেছিলাম, এখন বুঝি।
যাই হোক একরাত বিবেকের তাড়নায় জেগে থাকা ভালো। একবারে মরে যাওয়ার চাইতে। জান বাঁচানো ফরয দাদা।
- মহিম ভৌমিক
নব্যদীপ্তি_শুদ্ধ চিন্তায় তারুণ্য