দেশের ৭ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত
দেশের সাত কৃষি ও কৃষি শিক্ষা প্রাধান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কষ্ট লাঘব এবং আর্থিক অপচয় রোধকল্পে দেশের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরকৃবি) অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা এসএসসি ও এইচএসসিতে মোট জিপিএ (চতুর্থ বিষয় বাদে) ন্যূনতম ৮ থাকতে হবে। পৃথকভাবে এসএসসিতে জিপিএ ৩.৫ ও এইচএসসিতে জিপিএ ৩.৫ থাকতে হবে। পরীক্ষার সময় এক ঘণ্টা, বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং এমসিকিউ পদ্ধতিতে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আবেদনের তারিখসহ ভর্তিসংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পরবর্তীতে জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার এবং খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রহমান খান ও পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরের প্রতিনিধি হিসাবে প্রফেসর ড. পূর্ণেন্দু বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর তোফায়েল আহমেদ, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বশেমুরকৃবির রেজিস্ট্রার ও আইটি বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।
এবারের ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়- গাজীপুর, লিড ইউনিভার্সিটি হিসাবে দায়িত্ব পালন করবে। ৪৬টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গুচ্ছে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নেবে। ৪ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বুয়েট বাদে বাকি তিনটি একই পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেবে। বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আলাদা পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণ করবে।