বগুড়ায় জেলা পুলিশের “আনন্দ উদযাপন’

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল এদেশের বাঙালী জাতির মুক্তির সনদ।
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান ও বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ প্রাপ্তিতে বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বিপিএম বার এর সভাপতিত্বে আনন্দ উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশের সিআইডি পুলিশ সুপার কাওসার আহমেদ, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মজিবর রহমান মজনু, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডাঃ মকবুল হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান মিলন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফিক, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বগুড়ার সাবেক কমান্ডার রুহুল আমিন বাবলু, বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়ন, বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মাফুজুল ইসলাম রাজ।
অনু্ষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল এদেশের মানুষের মুক্তির সনদ। ৭ মার্চের ভাষণে এদেশের মানুষ উজ্জীবিত করেছিল মুক্তিযুদ্ধের। বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ তা এদেশের মানুষ যুদ্ধে অংশ নিয়ে বিজয় ছিনিয়ে এনে তা প্রমাণিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়ে বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে উপহার দিয়েছিল বাঙালী জাতিকে। ১৯৭১ সালে পশ্চিম পাকিস্তানি সেনাদের শাসন নিপিড়নের শিকার হয়েছে এদেশের সাধারণ মানুষ। দেশের মানুষের মুক্তিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজের জীবন তুচ্ছ করে বাঙালী জাতির মুক্তি সনদ ছিনিয়ে এনেছিলেন পাক হানাদার বাহিনীদের কাছ থেকে। মার্চে রক্তাক্ত করা হয়েছিল সারাবাংলা। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুকে চেষ্টা করা হয়েছিল একজন বিচ্ছিন্নবাদী নেতা হিসেবে। কিন্তু সকল ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ছিন্ন করে ১৮ মিনিটের বক্তব্য রাখলেন রেসকোর্স ময়দানে। ডাক দিলেন জাতির মুক্তির। স্বাধীনতার বীজ বপন করলেন কোটি মানুষের হৃদয়ে। সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ডাক। বঙ্গবন্ধুর তার পরিবারকে নিয়ে ভাবেননি, তিনি গোটাদেশকে একটি পরিবার মনে করতেন। তাই তিনি বাঙালীর মুক্তির সনদ রচনা করেছিলেন ৭ মার্চ।
বক্তারা আরও বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাঙালী জাতিকে য়াসক শোষণ থেকে মুক্তি দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। আর তার কন্যা শেখ হাসিনা এদেশের মানুষকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশে আজও যুদ্ধ হচ্ছে মাদকের বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে, সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ পুলিশ স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে সকল সময়ে দেশের সকল পরিস্থিতিতে সার্বভৌম রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। দেশের মুক্তিসংগ্রামের ভূমিকা রেখেছে বাংলাদেশ পুলিশ। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। আগামী দিনে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতধরে দেশ এগিয়ে উন্নত দেশের কাতারে।
বাংলাদেশ পুলিশ বগুড়া জেলা শাখা আয়োজিত আনন্দ উদযাপন অনুষ্ঠানে বগুড়া পৌরসভার নবনির্বাচিত কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বিপিএম বার অতিথিদের নিয়ে ফেস্টুন উড়িয়ে ও কেক কেটে আনন্দ উদযাপনের সুচনা করেন।