বগুড়া

“প্যালেস মিউজিয়ামের জমি বৈধভাবে কেনা হয়েছে’ সংবাদ সম্মেলনে মিলন

বগুড়া নওয়াববাড়ী প্যালেস মিউজিয়ামের জমি বৈধভাবে কেনা হয়েছে। সম্প্রতি গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে জমি কেনা নিয়ে কিছু ভুল তথ্য প্রচার হচ্ছে। গণমাধ্যমে যেভাবে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক।

বুধবার বেলা ১২ টার দিকে বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বগুড়া চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ মাছুদুর রহমান মিলন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সম্প্রতি নওয়াববাড়ীর জমি কেনার কারনে আমাকে দুর্নীতিবাজ বলা হয়েছে। সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছি বলা হয়েছে। কিন্তু এসব কথা পুরোপুরি মিথ্যা।

তিনি বলেন, ২০১৬ সালের ১৫ এপ্রিল ২৭ কোটি ৬০ লাখ টাকায় তিন জন মিলে নওয়াববাড়ির জমি কবলাসূত্রে কেনা হয়। এর আগে র‌্যাংগস কোম্পানি ২৩ শতক, রানার প্লাজা ৬৩ শতক জমি কিনেছে। অথচ আমরা জমি কেনার পর জানানো হয়, ২০০০ সালের ১২ মে প্রত্নতত্ব বিভাগের একটি গেজেট অনুযায়ী আমাদের কেনা জমিসহ ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ জায়গা প্রত্নতাত্বিক এলাকাভুক্ত উল্লেখ করা হয়। এতে কিন্তু যখন রানার প্লাজা, র‌্যাংগসের অফিস করা হল তখন এসব কোনো নোটিশ দেয়া হয়নি।
এ ঘটনার পরে তারা প্রত্নতত্ব বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা হয়। এখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগীয় পরিচালক নাহিদ সুলতানা বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রনালয়ে চিঠি দেন। তবে তার কোনো জবাব আজো আসেনি। এর মধ্যে আমরা হাইকোর্টে একটি রিট করি জমির অধিকার নিয়ে। পাঁচ বছর মামলা চালানোর পর গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বরে রায় পাই। এতে অতিসত্বর জমির মালিকরা ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।

ওয়াকফ সম্পত্তি প্রসঙ্গে মাছুদুর রহমান মিলন বলেন, এটি পুরোপুরি ব্যক্তি মালিকানা সম্পত্তি।১৯৩২ সালে আলতাফ আলী চৌধুরী তিন দশমিক ৪২ জমির বন্ধক রেখে তৎকালীন বগুড়ার লোন ব্যাংক থেকে ১২ হাজার টাকা ঋণ নেন। সেই ঋণ শোধ না করায় নিলামে উঠলে মোহাম্মদ আলী ১২ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছিলেন।ওয়াকফ সম্পত্তি হলে এই জায়গার কেস চলে ব্যক্তির উপর, খাজনা আদায় হয়, বিক্রি হয়েছে ব্যক্তি মালিকানা দেখিয়ে। শুধু আমরা কিনতে গেলেই ওয়াকফ সম্পত্তি হয়?
এখন হাইকোর্ট থেকে রায় পাওয়ার পরে করোনার সময়ে আমরা সেখানে কিছু সংস্কার কাজ শুরু করি। কিছু কিছু ঘর ভাঙ্গা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলন শেষে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের নিয়ে যান প্যালেস মিউজিয়ামে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button