বগুড়া সদর ফাড়িঁতে গাঁজা সহ আটক ৩
সদর পুলিশ ফাড়িঁর পুলিশ সদস্য বগুড়া সদর থানার চেলোপাড়া চাষী বাজার এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযান পরিচালনা করে ৩ জন কে আটক করে এবং ৬০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২২ মার্চ ২০২১ তারিখ বিকাল ০৩.১৫ টার সময় চেলোপাড়া চাষী বাজার সংলগ্ন শিশু পার্কের গেটের সামনে সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই (নিঃ) মোঃ খোরশেদ আলম এর নের্তৃত্বে একদল পুলিশ ফোর্সসহ অভিযান করে ২ জনকে আটক করে ও তাদের কাছ থেকে মোট ৫০০ গ্রাম গাঁজা এবং ঐ দিন বিকাল ০৫ টার সময় চেলোপাড়া রেলওয়ে বস্তির ফজল এর ভাংরির দোকানের ভিতর থেকে ১০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো সারিয়াকান্দি থানার নারাচি তরফদারপাড়া গ্রামের মৃত আতোয়ার হোসেন তরফদার ওরফে খট্টুর ছেলে মোঃ রেজাউল করিম ওরফে মিটন ওরফে লিটন (৫৫), সদর থানাধীন উত্তর চেলোপাড়ার গ্রামের মৃত শহিদুল্লাহ সাকিদার এর ছেলে মোঃ আঃ রশিদ (৫৭), একই গ্রামের মৃত-চাঁন প্রমানিক এর ছেলে মোঃ ফজল প্রমানিক (৫৩)।
সদর পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ এস আই (নিঃ) মোঃ খোরশেদ আলম জানান, দীর্ঘদিন ধরে আসামী মোঃ আঃ রশিদ গাঁজা বিক্রি করছে বলে আমাদের কাছে সংবাদ আছে। আসামী সু-চতুর হওয়ায় তাকে হাতে নাতে গ্রেফতার করা খুব কঠিন হয়ে যায়। এমতাবস্থায় আমরা রশিদ এর ফোন নম্বরে কল করে গাঁজা কিনতে চালে সে টাকা নিয়ে আমাদেরকে চাষী বাজার শিশু পার্কের সামনে আসতে বলে আসামীর কথা মত আমার ফাড়িঁর একটা কনষ্টবলকে লুঙ্গি পড়ে ও মাথায় গামছা বেধে ঘটনাস্থলে পাঠাইয়া দেই এবং আমরা তাকে ফল করি।এক সময় আসামী উক্ত কনষ্টবলকে গাঁজা দেওয়ার সময় আমরা চারদিক থেকে তাকে ঘিরে ফেলি এবং হাতে নাতে গ্রেফতার করে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে, উক্ত আসামীদেরকে গ্রেফতারের ফলে এলাকাবাসী আনন্দ মিছিল করে এবং মাদক বিরোধী স্লোগান দিতে থাকে।তারা মাদক ব্যবসায়ীদের শাস্তির দাবী করে।
৬ নং ওয়ার্ডের কমিশনার পরিমল চন্দ্র দাস বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের কোন স্থান হবে না।হয় মাদক ছাড়তে হবে না হয় আমার ওয়ার্ড ছাড়তে হবে।
এ বিষয়ে সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, চেলোপাড়া চাষী বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের কাছ থেকে মোট ৬০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার হয়।আসামীরা দীর্ঘদিন ধরে মাদকদ্রব্য গাঁজা বিক্রি করে আসছে।আসামীদের বিরুদ্ধে সদর থানায় পৃথক পৃথক ২টি মামলা রুজু করা হয়।