বগুড়া

বগুড়ায় হিজড়া জনগোষ্ঠীর জন্য এইডস প্রতিরোধ কার্যক্রম বিষয়ক সেনসিটাইজেশন সভা

বগুড়ায় হিজড়া জনগোষ্ঠীর জন্য এইডস প্রতিরোধ কার্যক্রম বিষয়ক সাংবাদিকদের সাথে সেনসিটাইজেশন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লইট হাউস শহরের জহুরুল নগর এলাকায় তাদের কার্যালয়ে এই সভাটির আয়োজন করে।

সভাটি লাইট হাউস পরিচালিত “প্রায়োরাটাইজড এইচআইভি প্রিভেনশন সার্ভিসেস ফর কি পপুলেশন (এমএসএম, এমএসডব্লিউ, হিজড়া) ইন বাংলাদেশ” নামক প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত হয়।

লাইট হাউসের প্রধান নির্বাহী মোঃ হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বগুড়া জেলা লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারি জজ শরিফুল ইসলাম।

বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সামির হোসেন মিশু, আইসিডিডিআরবির কর্মকর্তা ডাঃ মনোয়ারা মোর্শেদ হিমেল, বগুড়া সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক আতাউর রহমান প্রমূখ। সভাটি সঞ্চালনা করেন টিম লিডার মোঃ সালাহ উদ্দিন।

সভায় আতাউর রহমান জানান, সরকারি ভাবে গঠিত হিজড়া সনাক্ত করণ কমিটির জরিপে বগুড়ায় ২২৬ জন হিজড়ার সন্ধান পাওয়া গেছে। নিবন্ধিত হিজড়াদের মধ্যে ৫০ বছরের উর্দ্ধে বয়সী ১৫১ জনকে সরকারি ভাবে ৬শত টাকা করে ভাতা দেয়া হয়। জরিপের বাহিরেও জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২৫২ জন হিজড়া শিক্ষার্থী রয়েছে। তারা অনান্য শিক্ষার্থীদের মতই উপবৃত্তি পেয়ে থাকে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শরিফুল ইসলাম বলেছেন, অন্য প্রতিবন্ধীদের মত লিঙ্গ প্রতিবন্ধীদেরকেও দেখা প্রয়োজন। তারা আমাদের মতই মানুষ। তিনি আহবান জানান যাতে তারা তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে নিজেদের অধিকার আদায়ে স্বচেষ্ট হয়। অন্যথায় জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের সহায়তা নিতে পারে।

তিনি বলেন, “হিজড়ারা আমাদেরই সন্তান এরা বোঝা নয়” এটা আমাদের বুঝতে হবে এবং উত্তোরাধিকার আইন থেকে কোন ভাবেই তাদের বঞ্চিত করা যাবে না।

সভার শুরুতে মোঃ হারুন অর রশিদ হিজড়া ও যৌনসংখ্যালুঘুদের র্সাবিক উন্নয়নে যে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে তা উল্লেখ করেন। এরমধ্যে “ঝুঁকিপুর্ণ পূরুষ ও হিজড়া” জনগোষ্ঠীর জন্য এইচআইভি/এইডস প্রতিরোধে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান কার্যক্রম উল্লেখযোগ্য।

এছাড়াও জীবনমুখী দক্ষতা উন্নয়নে প্রায় ৫০ জন হিজড়াদের বিভিন্ন ধরণের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে তাদের আত্নর্নিভরশীল হতে সহায়তা করেছে। পাশাপাশি কোভিড-১৯ সময়কালে বিভিন্ন ফেইজে জরুরী খাদ্য সহায়তা প্রদান করে আসছে।

এছাড়া হিজড়া জনগোষ্টির প্রতি সংবেদনশীল আচারণ ও তাদের মানবাধিকার নিশ্চিত করার জন্য প্রতিনিয়ত এ্যাডভোকেসী করে আসছে বলে জানান।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button