বগুড়ায় লাল মরিচের সমাহার

বন্যার পর শীত পেরিয়ে গেছে বগুড়ার সারিয়াকান্দির যমুনা চরের বাসিন্দাদের। শীত সবজিতে ভাল ফলনের পর এবার শুকনা মরিচ চাষে আশাবাদী চাষিরা।
উঠোন থেকে শুরু করে খোলা যে কোনো স্থানে শুকনো মরিচ শুকিয়ে হাটে বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছেন চাষিরা। আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি ফলন পেতে যাচ্ছেন মরিচ চাষিরা।
বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা য়ায়, ২০২০ মৌসুমে বগুড়ায় মোট মরিচ চাষ হয়েছিল ৬০ হাজার ১৫০ হেক্টর। চলতি বছরও বগুড়ায় মোট মরিচ চাষ ধরা হয়েছে ৬০ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে। সমপরিমাণ জমিতে মরিচ চাষ করে ফলন পাওয়া গেছে ১৭ হাজার ১৬০ মেট্রিক টন।
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, ‘এখনো মাঠে ফলন আছে।লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আরও বেশি ফলন পাওয়া যাবে। আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় মরিচের ফলন হবে বাম্পার। ‘
এদিকে, বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও সোনাতলার যমুনা নদীর চর এলাকায় মরিচ শুকাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে মরিচ চাষিরা। সোনাতলা উপজেলার পাকুল্লা, আচারের পাড়া, সুজাইতপুর, সারিয়াকান্দি উপজেলার চন্দনবাইশা, তিতপরল, বোহাইল, যমুনা নদীর কয়েক কিলোমিটার বাঁধজুড়ে মরিচ শুকানো হচ্ছে।এছাড়াও নদীর পূর্বপাড়ে জেগে ওঠা চরের কৃষকদের কাছে ধানের পরই মরিচ অর্থকরি ফসল হয়ে উঠেছে।
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার মরিচ চাষিরা জানান, ‘বগুড়ায় সারা বছর মরিচের চাষ হলেও অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত যে মরিচ চাষ হয়ে থকে তার শুকিয়ে বাছাই করা হয়। বছরের অন্যমাসে যে মরিচ উৎপাদন হয় তা সাধারণত কাঁচা মারিচ হিসাবে বাজারজাত হয়ে থাকে। ‘
জেলার সারিয়াকান্দি কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, ‘উপজেলার ১ হাজার ৭৫০ হেক্টরে হাইব্রিড মরিচ এবং ১ হাজার ৯৭০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় উফসি মরিচ মিলিয়ে মোট ৩ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। ‘