ওয়ার্ড অব দ্যা ইয়ার নিয়ে ভোগান্তি
করোনাভাইরাস সংকট বিশ্বজুড়ে যত গভীর হচ্ছে, দেশগুলি নিয়ন্ত্রণের জন্য লকডাউনকে অন্যতম প্রধান প্রচ্ছন্নতা কৌশল হিসাবে ব্যবহার করছে।
‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’ লকডাউনের আভিধানিক অর্থ হলো, ‘ভ্রমণ, সামাজিক সম্পৃক্ততা। তবে শব্দটির ব্যাখ্যায় ক্যামব্রিজ ডিকশনারিতে বলা হয়েছে, কোনো জরুরি পরিস্থিতির কারণে সাধারণ মানুষকে কোনো জায়গা থেকে বের হতে না দেয়া কিংবা ওই জায়গায় প্রবেশ করতে বাধা দেয়াই হলো লকডাউন।
দ্বিতীয়বারের মতো সারাদেশে চলছে এক সপ্তাহের লকডাউন। যদিও হাস্যকর বিষয় হলো সরকার অফিস বন্ধ না করেই লকডাউন ঘোষণা করেছে। তাই এই লকডাউন আসলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি ছাড়া আর কিছুই না।
রোজকার মতো আজও সড়কে দেখা গিয়েছে যানজট।জীবিকার তাগিদে ছুটেছে পেশাজীবী মানুষজন।অফিসগামী জনসাধারণের চাকরি বাঁচাতে অফিস তো যেতেই হবে। চাকরি চলে গেলে পরিবার নিয়ে বিপদে পড়ার থেকে পর্যাপ্ত জনপরিবহন না থাকায়, অতিরিক্ত ভাড়া প্রদান করে কর্মস্থলে হাজিরা দিতে বাধ্য হয়েছে অনেক কর্মজীবী মানুষ । এভাবে কি আসলে কোনো সমাধানে আসা সম্ভব? সবদিকে বিবেচনা করে কি কোন সিদ্ধান্ত নেয়া উচিৎ ছিল না? দেশে কিন্তু মন্ত্রী আর উচ্চ মাইনে পাওয়া কর্মকর্তারা ছাড়া সাধারণ মানুষও বসবাস করে। তাদের হয়তো ঘর থেকে বের না হলে দুবেলা খাবার জুটবে না। তা হয়তো সরকারের দৃষ্টিকোণের বাহিরে।
তাই সকল দিক বিবেচনার মাধ্যমে এমন কঠিন স্বিদ্ধান্ত নিলে রক্ষা পেত সাধারণ এবং নিন্মবিত্তের মানুষেরা।
সিলভিয়া পারভেজ
নব্যদীপ্তিশুদ্ধচিন্তায়_তারুণ্য