কি দোষ গরীবের?কোথায় যাবে তারা?
কেউ ডাকে মোটা চাকার অটো কেউ ডাকে মিশুক। কেউবা অটোরিকশা।
শহর জুড়ে প্রতিনিয়ত চলছে ধরপাকড়। কেউ খোয়াচ্ছেন সিট, কেউবা পুরো রিকশাই হারিয়ে ফেলছেন। একমাত্র সম্বল হারিয়ে কেউবা পথে বসে আছেন।
কারণ সেসব নাকি অবৈধ রিকশা। অবৈধ শব্দটা সংজ্ঞায়িত করলে কি সত্যিই অবৈধ বলা যায়?
যা অবৈধ তা সর্ব অবস্থাতেই অবৈধ। শহরের রাস্তার পাশে কতশত দোকানে বিক্রি হচ্ছে এসব অটোরিকশা তার হিসেব মেলানো ভার। সেসব জায়গা থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়না, কারখানায় এর উৎপাদনও বন্ধ করা হয় না।
সেদিকে নজর না দিয়ে রাস্তা থেকে এভাবে কারো থেকে অবৈধ বলে ছিনিয়ে নেয়া কতটুকু যুক্তি সংগত?
যেখানে দেশের বেকার সমস্যা বেড়ে চলেছে, বলা হচ্ছে উদ্যক্তা হতে সেখানে এমন স্বেচ্ছাচারিতা কতবড় বাধা হতে পারে তা কি আমাদের ধারনার অনেক বাহিরে?
মোটা চাকার রিক্সাগুলো বেশ নিরাপদ উল্টে যাওয়ার ঝুকি কম। সেই সাথে শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে অনেকেই আয় করছেন এই অটোরিকশা দিয়েই। অনেক তরুণ উদ্যোক্তার কেনা অটোদিয়েই কর্মসংস্থান হয়েছে হাজারো বেকার যুবকের। সেই সাথে একটি রিকশায় তিনজন করে মানুষ শহরে যেতে পারে। এই শহরের অধিকাংশই মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত তাদের পক্ষে প্রাইভেট কারে যাতায়াত নিশ্চয়ই কল্পনা অতীত। যানযট নিরসনে যদি কিছু করতেই হয় তবে আগে রাস্তার ধারে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকা কার, মাইক্রো, বাইকের দিকেও নজর দিতে হবে।
তাদের পার্কিং এর উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আর প্রতিটি অটোরিকশার টিউব টায়ার, লাইট, ব্যাটারি, চাকা সব কিনতেই সরকারকে ভ্যাট দিতে হচ্ছে। তবে কি করে অবৈধ বলা হয়? একটা প্রশ্ন থেকে যেতেই পারে।
দিন শেষে আমরা শহর যানজট মুক্ত করতে গিয়ে কারো মুখের খাবার কারো বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন, কোন তরুণ উদ্দ্যোক্তার স্বপ্ন কেড়ে নিচ্ছি কিনা সেটাও মাথায় রাখতে হবে। পেটে খাবার না থাকলে মানুষ পশুও হয়ে যায়। টাকার জন্য চুরি, ছিনতাই, খুন অপরাধ এসব বেড়ে যাবে। সেই দায়ভারটা কে নেবে??
মানুষ মানুষের হোক, মানবতার জয় হোক।
-ইশতিয়াক ইশরাক।
নব্যদীপ্তি।