বাগদাদের একটি করোনা হাসপাতালে বিস্ফোরণ, নিহত ২৩
![](https://boguralive.com/wp-content/uploads/2021/04/Iraq-2104250427.jpg)
ইরাকের বাগদাদের একটি হাসপাতালের অক্সিজেন ট্যাংকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে আগুন লেগে কমপক্ষে ২৩ জন রোগী নিহত হয়েছেন। হাসপাতালটিতে করোনাভাইরাস রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। এ খবর বিবিসি বাংলা’র।
ইরাকী সময় শনিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে ইবনে খাতিব হাসপাতালের ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরও অনেকেই আহত হয়েছেন। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, অক্সিজেন ট্যাঙ্ক বিস্ফোরিত হয়ে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত।
এদিকে, ইরাকের বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, রোববার (২৫ এপ্রিল) ভোর নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, দমকলকর্মীরা আগুন নেভাতে হিমশিম খাচ্ছেন। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন অনেকে।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মু্স্তাফা আল খাদিমি এই ঘটনাকে ‘মর্মান্তিক দুর্ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেছেন। এই দুর্ঘটনার কারণ জানতে তিনি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
ইরাকের বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল খাদিম বোহান রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, হাসপাতালটির নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) আগুনের সূত্রপাত হয়। ফুসফুসের চিকিৎসার জন্যই ওই আইসিইউটি ব্যবহার করা হতো।
তাকে উদ্ধৃত করে রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম আইএনএ জানায়, এ পর্যন্ত ১২০ জন রোগীর মধ্যে ৯০ জন রোগী ও স্বজনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে প্রায় ৩০ জন রোগী ছিলেন। কোভিড-১৯ গুরুতর আক্রান্তদের জন্য ওই ইউনিটটি সংরক্ষিত ছিল। আহত এবং অন্য রোগী যারা আহত হননি তাদেরকে অ্যাম্বুলেন্সে করে পার্শ্ববর্তী হাসপাতালগুলোতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বাগদাদের গভর্নর মোহাম্মেদ জাবেরও প্রধানমন্ত্রীর মতো একই সুরে কথা বলেছেন। এ ঘটনায় ‘কাউকে আইনের আওতায় আনার’ দরকার আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এক বিবৃতিতে সরকারের মানবাধিকার কমিশন এই ঘটনাকে ‘এরই মধ্যে কোভিড-১৯ এ বিপর্যস্ত রোগীদের বিরুদ্ধে অপরাধ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
ইরাকের হাসপাতালগুলো করোনাভাইরাস মহামারির ধকল সামলে উঠতে হিমশিম খাচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে যুদ্ধ, অবহেলা এবং দুর্নীতির কারণে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্বল থাকার কারণে এমনটা হয়েছে।
ইরাকে গত ফেব্রুয়ারি থেকে কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে চলেছে এবং চলতি সপ্তাহে দশ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মহামারি শুরুর পর থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেশটিতে ১০ লাখ ২৫ হাজার ২৮৮ জন আক্রান্ত এবং ১৫ হাজার ২১৭ জন মারা গেছে বলে জানিয়েছে।
দেশটিতে গত মাসে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে এবং এরই মধ্যে ৬ লাখ ৫০ হাজার ডোজ টিকা তারা পেয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই টিকা বৈশ্বিক কর্মসূচি কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া।