বগুড়ায় ৮৫৭ পরিবার পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর উপহার “নতুন ঘর’

বগুড়ায় দ্বিতীয় পর্যায়ে ৮৫৭টি পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেতে যাচ্ছে। এ নিয়ে জেলায় মোট ২ হাজার ৩০৪টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের আশ্রয়ের স্থল নিশ্চিত করা হয়েছে।
আগামী রোববার (২০ জুন) এই গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে একযোগে ভিডিও কনফারেন্সে গৃহগুলো হস্তান্তর করবেন। মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘর ও জমি প্রদানে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
আজ শুক্রবার (১৮ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক বিষয়টি জানান। সম্মেলনে তিনি জানান, দেশে দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৩ হাজার ৩৪০ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। এ লক্ষ্যে রোববার উদ্বোধনী কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে ৬৪টি জেলায় গৃহ হস্তান্তর উদ্বোধন করবেন।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, জেলা থেকে মোট ৮ হাজার ৬৭১টি ক-শ্রেণিভূক্ত (ভূমি ও গৃহহীন) পরিবারের তালিকা পাঠানো হয়েছিল। তালিকার আওতায় প্রথম পর্যায়ে এক হাজার ৪৫২টি পরিবারের মাঝে গৃহ দেয়া হয়। এবার নির্মাণ করা হয়েছে ৮৫৭টি ঘর। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় করা হয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
এর মধ্যে বগুড়া সদর উপজেলায় ২২৩টি ঘর নির্মাণ করা হয়। ধুনটে ১২০টি, দুপচাঁচিয়ায় ১৫০টি, গাবতলীতে ২৫টি, কাহালুতে ৩০টি, নন্দীগ্রামে ৮০টি, সারিয়াকান্দিতে ৫১টি, শাজাহানপুরে ১৩টি, শেরপুরে ১৭টি, শিবগঞ্জে ৭৩টি, সোনাতলায় ৫০টি ও আদমদীঘিতে ২৫টি ।
বগুড়ায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি ১২টি উপজেলায় অনুষ্ঠিত হবে। এই অনুষ্ঠানগুলোয় স্থানীয় সাংসদ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপকারভোগীরা উপস্থিত থাকবেন। এর মধ্যে জেলা প্রশাসক ধুনট উপজেলায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের আর্থিক সহযোগিতা।
পরে অনুষ্ঠান শেষে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বগুড়ায় করোনা আক্রান্ত ৪১ জন ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহযোগিতা করা হয়। এই ক্ষতিগ্রস্তদের প্রত্যেকদের হাতে ১০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক।
এ সময় সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাসুম আলী বেগ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) উজ্জল কুমার ঘোষ, সহকারী কমিশনার (এনডিসি) জিএম রাশেদুল ইসলাম এবং জেলার টেলিভিশন ও প্রিন্ট মিডিয়ার একাধিক গণমাধ্যমকর্মী ছিলেন।