খালেদার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দিতে দলের স্থায়ী কমিটির আহ্বান

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লিভার ও অন্যান্য জটিলতার চিকিৎসা বিদেশে করানোর সুযোগ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটি।
মঙ্গলবার (২২ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসক বোর্ডের প্রধান এ এফ এম সিদ্দিকী জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া করোনার সংক্রমণ থেকে সুস্থ হলেও কোভিড-১৯-পরবর্তী কয়েকটি জটিলতায় ভুগছেন। তিনি কোনোমতেই ঝুঁকিমুক্ত নন। তার লিভার ও অন্যান্য জটিলতার চিকিৎসা বিদেশে উন্নত কোনো চিকিৎসা কেন্দ্রে করানো প্রয়োজন।
তিনি বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির বক্তব্য হচ্ছে, খালেদা জিয়া শুধু একজন বয়স্ক রাজনীতিবিদ নন, তিনি দেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে অতুলনীয় অবদান রেখেছেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তার ভূমিকা কিংবদন্তির মতো। এছাড়া তিনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। তিনি দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলের জনপ্রিয় নেতা।
তিনি বলেন, সব ধরনের রাজনৈতিক সংকীর্ণতা থেকে বের হয়ে তার সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেশের মানুষের প্রাণের দাবি। তার সুচিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে পাঠানোর জন্য ব্যবস্থা দ্রুত নিতে ও মুক্তি দিতে আহ্বান জানিয়েছে স্থায়ী কমিটি।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ৫৩ দিন চিকিৎসা পর ১৯ জুন খালেদা জিয়া বাসায় ফেরেন। হাসপাতালে সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে তাকে বাসায় নিয়ে চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেয় মেডিকেল বোর্ড।
গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। প্রথমে বাসায় তার চিকিৎসা হলেও পরে অবস্থা বিবেচনা করে গত ২৭ এপ্রিল এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৬ দিন পর ৩ মে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে জরুরিভাবে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। তিনি ৯ মে করোনার সংক্রমণ থেকে মুক্ত হন।