করোনায় সবচেয়ে ঝুঁকিতে বগুড়াসহ দেশের ৪০ জেলা
দেশে করোনা পরিস্থিতি নাজুক হয়ে পড়ছে দিন দিন। বেড়েই চলছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা। বিশেষ করে বুধবার গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা ছিল ৮৫জন এবং নতুন শনাক্ত ছিল ৫ হাজার ৭২৭ জন। নমুনা পরীক্ষার হিসাবে শনাক্তের হার ২০ দশমিক ২৭ শতাংশ।
প্রতিদিনই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় রাজধানীর পার্শ্ববর্তী সাত জেলায় লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মতে, সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি ছড়াচ্ছে দেশের ৪০টি জেলায়। এসব জেলাকে উচ্চ সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকা জেলা হিসেবেও চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এছাড়া আরও ১৫টি জেলা আছে সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে। সংক্রমণের মধ্যম ঝুঁকিতে আছে ৮টি জেলা।
খুলনা বিভাগের দশটি জেলার সব কটিই সংক্রমণের অতি উচ্চ ঝুঁকিতে আছে। রাজশাহী বিভাগের আট জেলার মধ্যে ছয়টি অতি উচ্চ ঝুঁকিতে, দুটি আছে উচ্চ ঝুঁকিতে। ঢাকা বিভাগের মধ্যে সাতটি জেলা আছে অতি উচ্চ ঝুঁকিতে।
রাজধানীসহ দুটি জেলা আছে উচ্চ ঝুঁকিতে আর চারটি জেলা আছে মধ্যম ঝুঁকিতে। রংপুর বিভাগের পাঁচটি অতি উচ্চ এবং তিনটি জেলা উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ। চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে চট্টগ্রামসহ ছয়টি জেলা অতি উচ্চ, তিনটি জেলা উচ্চ এবং একটি জেলা মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ। বরিশাল বিভাগে তিনটি জেলা অতি উচ্চ ঝুঁকিতে এবং মধ্যম ঝুঁকিতে তিনটি জেলা। সংক্রমণ এখনো তুলনামূলক কম সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে।
কয়েকটি জেলায় লকডাউন দেওয়া হলেও উত্তর ও দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলে সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। বরং তা দিন দিন অবনতি হচ্ছে। দেশের এখন সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি খুলনা বিভাগে। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৮৫ জনের মধ্যে ৩৬ জনই ছিলেন এই বিভাগের।
এই বিভাগের খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, মেহেরপুরে রোগী বাড়ছে দ্রুত। রাজশাহী বিভাগের মধ্যে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁ, পাবনা, বগুড়ায়ও রোগী বাড়ছে।
যদি চারপাশের এসব এলাকা থেকে রাজধানীতে মানুষের প্রবেশ ঠেকানো না যায়, তাহলে ঢাকার করোনা পরিস্থিতি নাজুক হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।