রামেক করোনায় আরও মৃত্যু ১০
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন করোনা পজিটিভ ছিলেন। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
রোববার (২৭ জুন) সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টার বিভিন্ন সময় তারা মারা যান।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর চারজন, চাঁপাইনবাগঞ্জের দু’জন ও নাটোরের চারজন। এদের মধ্যে সাতজন পুরুষ ও তিনজন নারী। চারজনের বয়স ৬১ বছরের উপরে। বাকিদের মধ্যে ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে দু’জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের তিনজন।
এ নিয়ে চলতি মাসের ২৭ দিনে এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেলেন ৩০১ জন। এর আগে সবচেয়ে বেশি মারা যায় গত ২৪ জুন ১৮ জন এবং সবচেয়ে কম গত ১২ জুন চারজন।
শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৫৫ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ৩৭ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের চার, নাটোরের পাঁচ, নওগাঁর দুই, পাবনার ছয় ও দিনাজপুরের একজন। একই সময়ে সুস্থ্য হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৫৫ জন।
আজ রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৩৫৭ বেডের বিপরীতে করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন রোগী আছেন ৪৩৪ জন। যা আগের দিন ছিল ৪৩১। অতিরিক্ত রোগিদের মেঝে ও বারান্দায় রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রোগিদের মধ্যে রাজশাহীর ২৯১ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪৪ জন, নাটোরের ৩৭ জন, নওগাঁর ৩৫ জন, পাবনার ২২ জন, কুষ্টিয়ার তিনজন, দিনাজপুরের একজন ও ঢাকার একজন। আইউসিইউতে ভর্তি আছেন ২০ জন।
এদিকে রাজশাহীতে কমেছে করোনা শনাক্তের হার। শনিবার দুইটি ল্যাবে রাজশাহী জেলার ৩৯২ নমুনা পরীক্ষায় ১১৪ জন পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। যা আগের দিনের চেয়ে ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ কমে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ০৮ শতাংশে। এর আগে শুক্রবার ছিল ৩৪ দশমিক ৫০ শতাংশ, বৃহস্পতিবার ২৯ দশমিক ৭৫ এবং বুধবার ৩৩ দশমিক ৯৫।
রাজশাহী ছাড়াও চাঁপাইনবাগঞ্জের ১৬৮ নমুনার মধ্যে পজিটিভ এসেছে ২০ জনের। বিদেশগামী ১৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় একজনের শরীরে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ঈদের পর থেকে রাজশাহীতে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকে। শনাক্তের হার ৬০ শতাংশের উপরে উঠলে গত ১১ জুন থেকে সিটি করপোরেশন এলাকায় এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করে প্রশাসন। পরে দুই দফা বাড়িয়ে তা আগামী ৩০ জুন মধ্য রাত পর্যন্ত করা হয়েছে।