দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে, বর্তমানে প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল ৭২.৮ বছর
দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। বর্তমানে প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল ৭২ দশমিক ৮ বছর। এর মধ্যে পুরুষের গড় আয়ু ৭১ দশমিক ২ বছর। নারীর গড় আয়ু ৭৪ দশমিক ৫ বছর। ২০১৯ সালে মানুষের গড় আয়ু ছিল ৭২ দশমিক ৬ বছর। তার আগের বছর ছিল ৭২ দশমিক ৩ বছর।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এ তথ্য জানিয়েছে।
গতকাল সোমবার (২৮ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিক ২০২০’ প্রকাশনায় এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯১ লাখ ১ হাজার। এর আগে ২০২০ সালে দেশে মোট জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৮২ লাখ ২ হাজার জন। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩০।
রিপোর্টে আরও বলা হয়, মোট প্রজনন হার ২ দশমিক ০৪ শতাংশ, প্রতি হাজারে মাতৃমৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৩ শতাংশ, ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব জনসংখ্যার শিক্ষার হার ৭৫ দশমিক ৬ শতাংশ, ৭ বছর ও তদূর্ধ্ব জনসংখ্যার শিক্ষার হার ৭৫ দশমিক ২ শতাংশ, ৭ বছর ও তদূর্ধ্ব নারী শিক্ষার হার ৭২ দশমিক ৯ শতাংশ।
এছাড়া দেশের ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব জনসংখ্যার ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হার ৪৩ দশমিক ৫ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৫২ দশমিক ৭ শতাংশ এবং নারী ৩৪ দশমিক ৩ শতাংশ বলে জানানো হয়েছে প্রকাশনায়।
প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে এটা দারুণ খবর। আমাদের সার্বিক উন্নতি হচ্ছে তারই ফল গড় আয়ু বেড়েছে।
তিনি বলেন, প্রকাশিত গড় আয়ু, দেশের মানুষের স্বাস্থ্য ও শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে। জনবহুল দেশ হওয়ার পরও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে দেশের উল্লেখযোগ্য সাফল্য আছে। একজন মা এখন গড়ে দুটি সন্তানের জন্ম দেন। এখন থেকে ৫০ বছর পেছনে তাকালে দেখা যাবে তখন একজন মা গড়ে ছয়টি সন্তানের জন্ম দিতেন। আমাদের দেশের মানুষ এখন শিক্ষিত হয়েছে, সচেতনতা বেড়েছে।