বগুড়ায় বিপদসীমার ৩৩ সে.মি. উপরে যমুনার পানি; ৬১ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত
উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিতে যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বগুড়ার সারিয়াকান্দি পয়েন্টে।
সোমাবার ৩০ আগস্ট দুপুর ৩ টায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বগুড়ার নির্বাহী প্রকৗশলী মো. মাহবুবুর রহমান এ তথ্য জানান।
জানা গেছে, গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টির সঙ্গে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে যমুনা নদীর পানি বগুড়া অংশে বেড়েই চলেছে। পানি বাড়া অব্যাহত থাকায় নদী তীরবর্তী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংলগ্ন নিচু এলাকার বসতবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং দূরবর্তী চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের ফসলি জমি প্লাবিত হয়ে পড়েছে।
নিম্নাঞ্চলগুলো এবং এসব এলাকার রোপা, মাশকলাই, মরিচ, স্থানীয় জাতের গাঞ্জিয়া ধানসহ ফসলি জমি পানি প্রবেশ করেছে। অনেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।
আগস্টের মাঝামাঝি সময় থেকেই যমুনায় পানি বাড়তে শুরু করে। তবে গত ২৬ আগস্ট দুপুরে তা বিপদসীমা অতিক্রম করে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল হালিম জানান, নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় উপজেলায় প্রায় ৫০ হেক্টর রোপা আমনসহ এ পর্যন্ত ৬১ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পাউবো বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, যমুনা নদীতে বিপদসীমা নির্ধারণ করা হয় ১৬ দশমিক ৭০ মিটার। ২৯ আগস্ট দুপুরের হিসেব অনুযায়ী নদীর পানি ১৭ দশমিক ০৩ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অর্থাৎ বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে, সকাল ৬টার হিসাব অনুযায়ী যমুনা নদীর পানির স্তর ছিল ১৭ দশমিক ১ মিটার।
তিনি বলেন, আরও কয়েকদিন দিন পানি বাড়া অব্যাহত থাকতে পারে। তবে পানি বাড়লেও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙনের কোনো আশঙ্কা নেই বলে মনে করছি।