প্রধান খবরবগুড়া জেলা

বগুড়া জিলা স্কুলের ২ জন ছাত্র করোনায় আক্রান্ত

বগুড়া জিলা স্কুলের দশম শ্রেণির দুই ছাত্র করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এতে অন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে করোনা ছড়িয়ে পড়ার ভয় করছেন অভিভাবকরা। 

স্কুল খোলার পর উপস্থিতি ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ থাকলেও এখন অনেক স্কুলে ৭০ শতাংশ নেমে এসেছে বলে জানা গেছে। 

বগুড়া জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হযরত আলী এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তারা করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ব্যাপক তৎপর রয়েছেন।

বগুড়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামপদ মুস্তফী জানান, তার প্রতিষ্ঠানের প্রভাতি ও দিবা শাখার দশম শ্রেণির দুই ছাত্র করোনা আক্রান্ত হয়েছে। পঞ্চম শ্রেণির একজনের জ্বর হলেও সে করোনা পজিটিভ নয়। ওই দুই ছাত্র গত কয়েক দিন স্কুলে অনুপস্থিত আছে। শ্রেণি শিক্ষক অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হয়েছেন, তারা করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে। 

প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর পাঠদান শুরুর সময় প্রায় ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিল। এখন কিছুটা কমে ৮০ শতাংশ হয়েছে। কোনোভাবে যেন করোনা ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য প্রতিটি শিক্ষার্থীকে স্কুলে প্রবেশের সময় শরীরের তাপমাত্রা গ্রহণ, সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, স্বাস্থ্যবিধি মেনে লাইন করে ক্লাসে নেওয়া হচ্ছে। ক্লাস শেষে তাদের লাইন করে স্কুল থেকে বের করা হচ্ছে। মাঝে মধ্যে স্কুলের সিঁড়ি ও অন্যান্য এলাকায় জীবানুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। 

এ ছাড়া করোনাভাইরাস যাতে কোনো শিক্ষক বা শিক্ষার্থীর শরীরে ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের গাইড লাইন অনুসরণ করা হচ্ছে। 

এদিকে কয়েকজন অভিভাবক জানিয়েছেন, দশম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবরে তারা তাদের সন্তানদের নিয়ে উদ্বিগ্ন। তারা সন্তানদের আপাতত স্কুলে পাঠানো থেকে বিরত রয়েছেন। 

আরও এক অভিভাবক বলেন, শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা না দিয়ে স্কুল খুলে দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হয়নি। গত দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকলেও তাদের টিকাদানের ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন জানান, তার প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। তবে তিনি স্কুলের শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার কম হওয়ার কথা স্বীকার করেন। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম হওয়ায় তারা ভালো ফল নিয়ে চিন্তিত।

বগুড়া জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হযরত আলী জানান, জিলা স্কুলের দশম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে আছে। তিনি প্রধান শিক্ষক শ্যামপদ মুস্তফীর কাছে এ তথ্য পেয়েছেন। এর বাইরে জেলার আর কোনো প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী আক্রান্ত হওয়ার খবর তার কাছে নেই। 

তিনি বলেন, প্রতিটি স্কুলে আইসোলেশন কক্ষ রয়েছে। কোনো ছাত্রছাত্রী স্কুলে এসে অসুস্থ হলে বা শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি না পাঠিয়ে অভিভাবকদের খবর দিতে বলা হয়েছে। অভিভাবক এলে তার কাছে বুঝে দিতে নির্দেশ রয়েছে। 

এ ছাড়া শিক্ষক বা শিক্ষার্থীদের করোনায় আক্রান্ত হলে কী করতে হবে সে ব্যাপারে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে নির্দেশনা দেওয়া আছে। তাই তিনি করোনা নিয়ে আতঙ্কিত না হতে বা কোনো গুজবে কান না দিতে অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button