বগুড়ায় ২ ভাইয়ের সংসার ভেঙে যাওয়ার সন্দেহে ঘটককে খুন

বগুড়া গাবতলীর ধোড়া পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত কালু সাকিদারের ছেলে জব্বার সাকিদার (৩৫) এবং আঃ মজিদ সাকিদার (৩০)। তারা বিয়ে করলেও তাদের সংসার ভেঙ্গে যায়। তবে এর পিছনে ঘটক জামাল সাকিদারের(৫২) হাত রয়েছে বলে দুই ভাইয়ের সন্দেহ হয়। সেই সন্দেহ থেকেই দুই ভাই পরিকল্পনা করে ঘটক জামাল সাকিদারকে খুন করে। সোমবার বিকালে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মমিন হাসান এর আদালতে ফৌঃ কাঃ বি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এমন তথ্য জানান দুই ভাই জব্বার ও মজিদ।
জানা গেছে, গত ২৬শে সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় উপজেলার ধোড়া পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত সদের সাকিদারের ছেলে জামাল সাকিদার (৫২) ভ্যানযোগে পেরীরহাট থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে সোলাকুরিয়া ভাঙ্গা ব্রীজের পূর্ব পাশে পৌছালে ৩/৪ জন অজ্ঞাত লোক জামাল সাকিদারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় ও পেটে উপর্যুপরি আঘাত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন জামাল সাকিদারকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেয়। এ ঘটনায় জামাল সাকিদারের ছেলে রুবেল সাকিদার (৩২) বাদী হয়ে গত ২৭শে সেপ্টেম্বর গাবতলী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন-যার মামলা নং-১৯। পরে ৯ই অক্টোবর ১২টায় চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় জামাল সাকিদার মারা যান।
এদিকে ক্লুলেস মামলা নিয়ে কাজ শুরু করে গাবতলী মডেল থানা ও বাগবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একাধিক টিম। গুপ্তচর নিয়োগের পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ১৭ অক্টোবর পুলিশ দুই ভাই জব্বার সাকিদার ও মজিদ সাকিদারকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে মাথায় ও পেটে উপর্যুপরি ধারালো ছুড়ির আঘাতে জামাল সাকিদারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার কথা তারা স্বীকার করেন।
গাবতলী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত জানান তাদের সংসার ভেঙে যাওয়ার পিছনে জামাল সাকিদারের হাত রয়েছে এমন সন্দেহেই পরিকল্পনা করে আরও কয়েকজনের সহযোগিতায় তারা জামাল সাকিদারকে খুন করে।