২ লাখ টাকা কুড়িয়ে পেয়ে পুলিশের কাছে জমা দিলেন ভ্যান চালক
দিনাজপুরের হিলিতে সড়কে কুড়িয়ে পাওয়া দুই লাখ টাকা পুলিশের কাছে জমা দিয়েছেন হাফিজার রহমান (৫৭) নামের এক ভ্যানচালক। পুলিশ টাকার প্রকৃত মালিক আবুল বাশারের কাছে সেই টাকা তুলে দিয়েছেন। হারানো টাকা ফেরত পেয়ে খুশি হয়ে মালিক হাফিজার রহমানকে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেন। টাকার প্রকৃত মালিক টাকা ফিরে পাওয়ায় খুশি ওই ভ্যানচালকও।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে হিলি স্থলবন্দরের চারমাথা মোড়ে ভ্যান চালিয়ে যাওয়ার সময় তিনি সড়কে এ টাকা কুড়িয়ে পান। হাফিজার রহমান হিলির বড় জালালপর গ্রামের মৃত মোজাফ্ফর রহমানের ছেলে।
হাফিজার রহমান বলেন, ‘আমি টেম্পু স্ট্যান্ড থেকে যাত্রী নামিয়ে ভ্যান নিয়ে হিলি স্থলবন্দরের চারমাথার দিকে আসছিলাম। এ সময় চারমাথা মোড়ে আর্মি হোটেলের সামনে এক হাজার টাকার নোটের দুই বান্ডিল টাকা পাই। পরে আশপাশের দোকানদারকে টাকা পাওয়ার বিষয়টি জানাই, কিন্তু তারাও মালিকের সন্ধান দিতে পারেননি। পরে আমি বিষয়টি পুলিশকে জানাই। পুলিশ সেই টাকা মালিককে ফেরত দিয়ে দেয়।’
টাকার মালিক সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী আবুল বাশার বলেন, ‘আমদানি করা পণ্যের ডিউটি দিতে অফিস থেকে ব্যাগে করে ১৪ লাখ টাকা নিয়ে সোনালি ব্যাংকে জমা দেওয়ার উদ্দেশে যাচ্ছিলাম। ব্যাংকে টাকা জমা দিতে গিয়ে দেখি টাকার দুইটি বান্ডিল অর্থাৎ দুই লাখ টাকা নেই। তখন ধরেই নিয়েছিলাম, টাকা আর পাবো না। এর পর পথে কোথাও হয়তো ব্যাগ থেকে টাকা পড়ে গেছে যা আমি বুঝতে পারিনি। এই ভেবে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় টাকার খোঁজ করতে থাকি কিন্তু কোথাও পাইনি। পরে শুনি এক ভ্যানচালক টাকা পেয়ে থানায় জমা দিয়েছে। থানা থেকে উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে টাকাগুলো ফেরত নিয়েছি। সেই সঙ্গে খুশি হয়ে সেই ভ্যানচালককে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার হিসেবে দিয়েছি।’
হাকিমপুর থানার ওসি খায়রুল বাশার বলেন, ‘হাফিজার রহমান নামের এক ভ্যানচালক টাকা কুড়িয়ে পেয়ে পুলিশকে জানান। পরে এসআই বেলালসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে টাকার বান্ডিলসহ হাফিজার রহমানকে সসম্মানে থানায় নিয়ে আসেন। টাকার বান্ডিল দুইটিতে এক লাখ টাকা করে দুই লাখ টাকা ছিল। পরে আমরা প্রকৃত মালিকের সন্ধান করতে থাকি। এরপর প্রকৃত মালিক আবুল বাশারের হাতে প্রমাণ সাপেক্ষে টাকা তুলে দেওয়া হয়। টাকাগুলো ফেরত দিয়ে হাফিজার রহমান সততার নজির স্থাপন করেছেন যা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।’