প্রেমে ব্যর্থ হয়ে প্রাক্তনকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর নিজের শরীরে ছুরিকাঘাত
প্রেমে ব্যর্থ হয়ে মনির হোসেন নিজেই তার প্রাক্তন প্রেমিক ছুমাইয়া আক্তারকে (১৬) ঘারসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর আত্মহত্যার জন্য মনির নিজের শরীরের বিভিন্ন স্থানে তার ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে।
টাঙ্গাইল র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মি. জন রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মনির হোসেনকে আটক করা হয়েছে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে র্যাবের প্রহরায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মনির কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌর এলাকার মশাজান গ্রামের মেহের আলীর ছেলে। তিনি বাস চালকের সহকারি। আর নিহত ছুমাইয়া একই উপজেলার পালিমা গ্রামের ফেরদৌসুর রহমানের মেয়ে। পরিবারসহ এলেঙ্গা পৌরসভার রিসোর্ট এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতো। সে এলেঙ্গা রানী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
তিনি জানিয়েছেন, মনির হোসেনের সাথে ছুমাইয়ার দুইবছর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত দুই মাস আগে তাদের মধ্যে দুরত্ব সৃষ্টি হয়। এ কারণে মনির ছুমাইয়ার উপর ক্ষিপ্ত হয়। ছুমাইয়াকে হত্যার জন্য মনির মঙ্গলবার রাতেই সিদ্ধান্ত নেয়।
এ বিষয়ে তাদের (র্যাব) কাছে তথ্য রয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থলে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত যে ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে সেটি মনির হোসেনের। মনির টিকটকের প্রতি আগ্রহ ছিল। মাঝে মধ্যে সে টিকটকে উদ্ধার হওয়া সেই ছুরিটি ব্যবহার করেছে। এছাড়া র্যাবের কাছে বেশ কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ রয়েছে যা দেখে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে মনির নিজেই জড়িত বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।