বগুড়ায় চূড়ান্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া

ঢাকার মতো বগুড়াতেও আন্তঃজেলা গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্ধেক (হাফ) ভাড়া গ্রহণের বিষয়ে আগামী সাতদিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এজন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।
জেলা পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা এ বিষয়ে নীতিগতভাবে মত পোষণ করেছেন। জেলা প্রশাসক জিয়াউল হকের সভাপতিত্বে জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী ও হাইওয়ে বগুড়া রিজিওনের পুলিশ সুপার মুনশী শাহাবুদ্দীন সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় পরিবহন নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের পক্ষে সভাপতি আখতারুজ্জামান ডিউক, সহ-সভাপতি তৌফিক হাসান ময়না এবং বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল হামিদ বিটুল ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহম্মেদ।
আলোচনায় পরিবহন নেতারা নীতিগতভাবে শিক্ষার্থীদের আন্তঃজেলা বাসে হাফ ভাড়ার বিষয়ে একমত পোষণ করেন। পাশাপাশি এ বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে একটি নীতিমালা প্রণয়নের জন্য জেলা প্রশাসককে তাগিদ দেন তারা। এছাড়া পরিবহনের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা বলা হয় সভায়।
শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ার বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে সিদ্ধান্ত নিতে একটি কমিটি গঠন করে দেন জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালাহউদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বে এ কমিটি পরিচালিত হবে। এছাড়া কমিটিতে জেলা পুলিশের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর, হাইওয়ে পুলিশ, বিআরটিএ, মোটর মালিক গ্রুপ ও মোটরশ্রমিক গ্রপের সদস্যরাও সমন্বিতভাবে কাজ করবেন। কমিটিকে আগামী সাতদিনের মধ্যে হাফ ভাড়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ও রূপরেখা তৈরি করতে বলা হয়েছে।
সভায় পরিবহন নেতারা বলেন, শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তান। তাদের হাফ ভাড়ার বিষয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে শিক্ষার্থীদের শনাক্তে কিছু নিয়ম নীতিমালা করে দিতে হবে যাতে শ্রমিকদের সঙ্গে কোনো রকম দ্বন্দ্ব না হয়।
আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক ও পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, বগুড়া থেকে সারাদেশে শিক্ষার্থীদের সুবিধায় একটি দৃষ্টান্ত তৈরি হতে পারে। এজন্য জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সবরকম সহযোগিতা করা হবে। তবে শিক্ষার্থীদের পরিচয়ে অন্য কেউ হাফ ভাড়া নিয়ে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে তাও কঠোরভাবে দমন করা হবে।