বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

আইপি টিভি কোনোভাবেই সংবাদ প্রচার করতে পারবে না

দেশে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে অনলাইন মাধ্যমে পরিচালিত টেলিভিশন চ্যানেল (আইপি টিভি)। এতে নিম্নমানের অনুষ্ঠান, এমনকি নিউজও প্রচার হয়ে আসছে। কোনো নিয়ম কানুন না মেনে প্রচার করা সেই সব খবর বা তথ্য অনেক সময় বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে। অনুমোদনহীন এসব আইপি টিভির বিজ্ঞাপনেও নেই নিয়ম কানুন।

আইপি টিভি নিয়ন্ত্রণ করে শৃঙ্খলায় ফেরাতে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে বেসরকারি টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন অ্যাটকো। ইতোমধ্যে ১৩টি আইপি টিভিকে অনুমোদনও দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে অ্যাটকো নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৈঠক শেষে নেতারা জানান, আইপি টিভি যেন টেলিভিশনের বিকল্প না হয়, সেজন্য অনুমোদনের আগে শক্তিশালী নীতিমালা তৈরির দাবি জানানো হয়।

বৈঠক শেষে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে অ্যাটকো উপস্থাপিত বিষয়ের একটি হচ্ছে, বাংলাদেশে যে সমস্ত মোবাইলফোন কোম্পানি আছে তারা লাইসেন্স না নিয়েই ওটিটি প্লাটফর্ম পরিচালনা করছে, কনটেন্ট বানাচ্ছে, অনলাইনে প্রচার করছে এবং সেখান থেকে উপার্জন করছে, যেটি তাদের লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ। টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বিটিআরসি এবং মোবাইল অপারেটরদের নিয়ে আমরা বিষয়টা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবো। তারা যদি নিয়মবহির্ভুতভাবে এটি করে থাকেন, সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, আরেকটি বিষয়, আইপি টিভি রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার প্রয়োজন আছে কি না, অ্যাটকোর পক্ষ থেকে সে প্রশ্ন তারা তুলেছেন। আইপি টিভি পৃথিবীর বাস্তবতা। কিন্তু ব্যাঙের ছাতার মতো আইপি টিভি সমীচীন নয় বলে আমি মনে করি। আমরা ইতোমধ্যেই ১৩টি আইপি টিভিকে রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার অনুমতি দিয়েছি। আইপিটিভি সংক্রান্ত নীতিমালা মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হয়েছে, সেখানে নীতিমালায় বলা আছে আইপি টিভি কোনোভাবেই সংবাদ প্রচার করতে পারবে না, ক্যাবলের মাধ্যমে প্রচার করতে পারবে না। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অত্যন্ত যত্ন সহকারে আইপি টিভির ব্যাপারে অগ্রসর হতে চাই, যথেচ্ছভাবে নয়।

এর আগে অ্যাটকোর পক্ষ থেকে ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রায় তিন ডজনের মতো টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচার করছে, অবাধ তথ্য দিচ্ছে। সেখানে নতুন করে আইপিটিভির অনুমোদন দেওয়ার প্রয়োজন আছে কি না, সে উদ্বেগের কথা আমরা মন্ত্রীকে আমাদের পক্ষ থেকে বলেছি।

অ্যাটকোর সিনিয়র সহ-সভাপতি আরও বলেন, মোবাইলফোন কোম্পানিগুলো অনুমোদন ছাড়াই ওটিটিতে অনুষ্ঠান এমন কি সংবাদ পর্যন্ত প্রচার করছে। আমরা মনে করি, এটা অবৈধ এবং তা বন্ধের দাবি জানিয়েছি।

অ্যাটকোর সহ-সভাপতি আরিফ হাসানসহ অ্যাসোসিয়েশন পরিচালকদের মধ্যে আহমেদ জোবায়ের, আব্দুল হক, কাজী জাহেদুল হাসান, আশফাক উদ্দীন এবং সদস্য নাসির উদ্দীন বৈঠকে অংশ নেন।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button