
আগামী ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আপন দুই ভাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন আওয়ামী লীগ (নৌকা) প্রার্থী আজহারুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র (চশমা) প্রার্থী মো. কামাল হোসেন। তিনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।
নির্বাচনে দুই ভাইয়ের একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়টি নিয়ে টাঙ্গাইল জুড়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে।
চেয়ারম্যান পদে অপর প্রার্থীরা হলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোতালিব হোসেন (আনারস) ও সদর উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম বুলবুল (মোটরসাইকেল)। বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তিনজনকেই ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করেছে আওয়ামী লীগ। এছাড়া জাতীয় পার্টি থেকে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন আব্দুল বাছেদ মন্ডল।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে সরেজমিন মাগড়া ইউনিয়নের কুইজবাড়ি বাজারে একটি চায়ের দোকানে কথা হয় কয়েকজন গ্রামবাসীর সঙ্গে। গ্রামবাসীরা বলেন, ক্ষমতার জন্য ভাই ভাইয়ের মধ্যে যুদ্ধ হয় শুনেছি। এবার তা নিজেরাই দেখছি।
রেজাউল করিম নামে এক ভোটার বলেন বলেন, ‘আমরা সাধারণ ভোটাররা বিব্রতর অবস্থার মধ্যে রয়েছি। নির্বাচনের পরে ভাইয়ের সঙ্গে ভাইয়ের ঠিকই মিল থাকবে। তবে আমরা ভোটাররা আলাদা হয়ে যাচ্ছি।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক আওয়ামী লীগের কর্মী বলেন, ‘দলের প্রার্থী যোগ্য না হওয়ায় অনেক কর্মী সমর্থকরা এবার বিদ্রোহী ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীর পক্ষ নিয়েছে।’
আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘ভোট যুদ্ধে অংশ নেওয়াকে কেন্দ্র করে আমাদের দুই ভাইয়ের সম্পর্কের অবনতি হবে না। আমি পরপর দুইবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। এলাকার মানুষের জন্য কাজ করেছি। তাই এলাকার মানুষ ও দল আমাকেই চেয়েছে। এ জন্যই প্রার্থী হয়েছি। ভাইকে আমি ভাইয়ের চোখেই দেখি।’
ছোট ভাই কামাল হোসাইন বলেন, ‘গত নির্বাচনের সময় বড় ভাই মায়ের সামনে কথা দিয়েছিলেন এবার চেয়ারম্যান পদে তিনি প্রার্থী না হয়ে আমাকে প্রার্থী করবেন। কিন্তু তিনি কথা রাখেননি। মাসহ অপর ছয় ভাই এবং বেশিরভাগ আত্মীয় স্বজনের সমর্থন আমার পক্ষে রয়েছে।’
টাঙ্গাইল জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচ কামরুল হাসান বলেন, ‘নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ। আমরা সুষ্ঠ নির্বাচন আয়োজনে আশাবাদী।’
তিনি আরো বলেন, চতুর্থ ধাপে টাঙ্গাইলের তিন উপজেলার ২১টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে মোট চেয়ারম্যান প্রার্থী ৯৭ জন। সাধারণ সদস্য প্রার্থী ৬৮৫ জন ও সংরক্ষিত প্রার্থী ২৩২ জন। মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৬ হাজার ১৮৭ জন।