পোড়া লঞ্চে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে মাথার খুলি, হাড়-গোড়

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী ‘এমভি অভিযান-১০’ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৬৫ জন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের উদ্ধার অভিযান চলছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, লঞ্চের প্রতিটি কেবিনেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে যাত্রীদের মাথার খুলি, শরীরের হাড়-গোড়। পুড়ে ছাই হয়ে গেছে প্রতিটি কেবিন। লঞ্চের প্রতিটি কক্ষেই পৌঁছায় আগুনের ভয়াবহতা। নিচতলা থেকে ৩ তলার ছাদ পর্যন্ত প্রতিটি জায়গায় পোড়া চিহ্ন ছাড়া আর কিছুই দেখা যায়নি।
বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার, ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, ওই লঞ্চটির এমন কোনো অংশ নেই যেখানে আগুনের ভয়াবহতা পৌঁছায়নি। ঘুমের মধ্যেই তাদের জীবনে নেমে এসেছে ভয়াবহতা। পুড়ে কয়লা হতে হলো তাদের।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত তিনটার দিকে লঞ্চটিতে আগুন লাগে বলে যাত্রীরা জানিয়েছেন। ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের গাবখান চ্যানেলে এলে লঞ্চ থেকে কিছু যাত্রী নামতে পেরেছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, লঞ্চটিতে ৩ শতাধিক যাত্রী ছিল। যেহেতু সপ্তাহের শেষ দিন ছিল তাই এ রুটে যাত্রীর চাপও ছিল অনেক। আগুন লাগার ঘটনা আঁচ করতে পেরে অনেকে আতঙ্কিত হয়ে জীবন বাঁচাতে সুগন্ধা নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন। অনেকে সাঁতরে তীরে উঠতে পেরেছেন। এর মধ্যে শতাধিক নারী-পুরুষ দগ্ধ হয়ে বরিশাল, ঝালকাঠিসহ আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।