ঘুড়ির সাহায্যে আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে বিশ্ব রেকর্ড

ফ্রান্সিসকো লুফিনহা নামে এই দুঃসাহসী অভিযাত্রীর সম্বল ছিল ছোট্ট একটি ঘুড়ি চালিত নৌকা। কে বলবে, শুধুমাত্র ঘুড়ির শক্তিতে ছোট্ট একটি নৌকা চালিয়ে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়েছেন এই সার্ফার! সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে দুঃসাহসী ওই অভিযানের ভিডিও।
ছোট্ট একটি ককপিট আকৃতির কেবিনেই দেড় মাসেরও বেশি সময় পার করেছেন এই কাইটসার্ফার। জানা গেছে, ৭ দশমিক ২ মিটার লম্বা এবং ৫ দশমিক ৬ মিটার প্রশস্ত অবকাঠামোটি সম্পূর্ণরূপে নিজেই তৈরি করেছেন লুফিনহো। সৌর শক্তি মাধ্যমেই তার নৌকার যাবতীয় কাজ চলতো। শুধু তাই নয়, বাতাসের গতিবেগকেও খুব ভালভাবেই কাজে লাগাতে সক্ষম হয়েছিলেন এই সার্ফার। একটি রিমোটের সাহায্যে ঘুড়ি নিয়ন্ত্রণ করে নৌকা পরিচালনা করেছিলেন তিনি, যার সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার।
গেল নভেম্বরের ৩ তারিখে পর্তুগালের লিসবনের ক্যাসকাইস থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন এই পর্তুগীজ নাগরিক। আটলান্টিক মহাসাগরে প্রায় ৪ হাজার মাইল সফলভাবে পাড়ি দিতে লুফিনহার সময় লেগেছে ২৫ দিন। মার্টিনিকের ক্যারিবীয় দ্বীপে এসে পৌঁছান ২০ ডিসেম্বর।
তবে যাত্রাপথে সর্বমোট ৪৭ দিন সময় লেগেছিলো তার। কারণ প্রতিকূল বাতাসের কারণে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে নভেম্বরের ৮ থেকে ৩০ পর্যন্ত যাত্রাবিরতি দিতে হয় তাকে। নৌকার ভিতরেও ঢুকে পড়ছিল উত্তাল সাগরের জলরাশি। শুধু তাই নয়, যাত্রাপথে খাবার পানি একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। একটি হ্যান্ড পাম্প ব্যবহার করে সাগরের লোনা জলকে বিশুদ্ধ পানীয়তে পরিণত করেন তিনি। এমন নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও দমে যাননি লুফিনহো। বরং সেটাকে একটা দুর্দান্ত চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে ঠিকই লক্ষ্যে পৌঁছে গিয়েছেন ৩৮ বছর বয়সী এই সার্ফার।