প্রধান খবরবিনোদন

ইলিয়াস আমাকে ভোগ করতেই বিয়ে করেছিল: সুবাহ

মডেল ও অভিনেত্রী সুবাহ শাহ হুমায়রা বলেছেন, গায়ক ইলিয়াস তাকে ভোগ করার জন্যই বিয়ে করেছিলেন।

বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।

পোস্টে তিনি বলেন, আমি সরল মনে ওকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম সংসার করার জন্য। বাচ্চা নেওয়ার জন্য। আর ও আমাকে বিয়ে করেছিল আমার শরীরকে ভোগ করার জন্য এবং টাকার জন্য।

ওই পোস্টে সুবাহ আরও লেখেন, ও যখন আমাকে বিয়ে করেছে বিয়ের মধ্যে আমাকে শাড়ি, গয়না কোনো কিছু ইভেন্ট বিয়ের কোনো খরচও করেনি। সে বিয়ের পর আমার কাছে অনেক কিছুই চেয়েছিল।

তিনি আরও লেখেন, আমার মা ওকে ২৫ হাজার টাকা দামের একটা ঘড়ি গিফট করেছে। ডায়মন্ডের সোনার দুইটা আংটি, হোয়াইট গোল্ডের চেইন আমি দিয়েছি।  জুতা-স্যান্ডেল বিয়ের শেরওয়ানি পাঞ্জাবি এভরিথিং আমরা দিয়েছি সামর্থ্য অনুযায়ী। আমার ভাই ওকে রোলেক্স এর প্রায় ১২ থেকে ১৩ লাখ টাকা দামের একটা ঘড়ি পর্যন্ত কিনে দিয়েছে। এছাড়াও আমার আম্মু ইলিয়াসকে বলেছিল তোমার আর যা ডিমান্ড আছে আমরা দেবো। সুবার বাবা বেঁচে নেই তাই গাড়ি ফ্ল্যাট কিনে দিতে লেট হবে বাবা।

এই অভিনেত্রী লেখেন, ‘আল্লাহর কাছে এবং আপনাদের সবার কাছে আমি ওই বেইমান, চরিত্রহীন, মিথ্যাবাদীর নামে বিচার দিয়ে রাখলাম।’

এদিকে এদিন (বুধবার) আরও বেশ কয়েকটি পোস্ট দেন সুবাহ।

একটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘ইয়িলাস হোসেন আমার নামে গতকাল (মঙ্গলবার) থানায় জিডি করেছেন আমি নাকি তাকে ফাঁসিয়ে বিয়ে করেছি। আল্লাহ ছাড়বে না তোমাকে ইলিয়াস।’

আরেক পোস্টে সুবাহ লেখেন, ‘যদি বলো ফাঁসিয়ে ছিলাম তবে বলবো হ্যাঁ, ফাঁসিয়ে ছিলাম শুধু তোমাকে পাওয়ার জন্য, তোমার ভালোবাসা পাওয়ার জন্য, তোমার সাথে সংসার করার জন্য। তোমার তো টাকা নাই যে টাকা দেখে ফাঁসাবো। বিচার করবেন আল্লাহ।’

আরেক পোস্টে সুবাহ দাবি করেন, ‘বিয়ের মাত্র এক মাসও হয় নাই অথচ দেখেন আমার হাতের অবস্থা কি করে দিসে সিঙ্গার ইলিয়াস। আর সবাইকে বলে আমি নাকি তাকে মারছি। আল্লাহ তো দেখছে। আমার চাচাতো ভাইয়ের সামনে ও আমাকে ধরে মারছে। এইজন্য সেদিন লাইভে আসছিলাম। ও শুধু বিয়েটা করেছিল আমার শরীর ভোগ করার জন্য আর আমাকে অত্যাচার করে হয়তোবা টাকা-পয়সার জন্য। 
হয়তো সে নিজেই এখন হাত-পা কেটে আমাকে ফাঁসানোর জন্য অনেক নাটক সাজাতেও বাকি রাখবে না। কারণ আমি তাকে খুব ভালো করেই চিনি। এটা তার কাছে একটা ব্যবসা।’

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button