করোনা: শনাক্ত বেড়ে ১৫ হাজার, মৃত্যু ১৭
করোনাভাইরাসে দেশে গেলো ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা) নতুন করে ১৫ হাজার ৫২৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আর একই সময়ে নতুন করে ভাইরাসটিতে আরো ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগের ২৪ ঘণ্টায় এ সংখ্যা ছিলো ১৮।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট ৪৯ হাজার ২৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৬৪ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ৩২ দশমিক ৪০ শতাংশ।
দেশে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৭ লাখ ৩১ হাজার ৫২৪ জন। মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১২ শতাংশ। সরকারি হিসাবে করোনার সংক্রমণে মোট ২৮ হাজার ২৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
অন্যদিকে, করোনা আক্রান্তদের মধ্যে এক হাজার ৫২ জন গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাদের নিয়ে দেশে মোট সেরে উঠলেন ১৫ লাখ ৬০ হাজার ৬ জন। শনাক্ত বিবেচনায় দেশে মোট সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৯ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৭ জনের মধ্যে নারী চারজন, পুরুষ ১৩ জন। তাদের মধ্যে দশজন ঢাকায় মারা গেছেন। চট্টগ্রামে চারজন এবং রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে মারা গেছেন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের পাঁচজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের দুইজন ও ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে তিনজন।
বিশ্বব্যাপী করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করার পর বাংলাদেশেও দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে।
গত ডিসেম্বরের প্রথম দিকেও দেশে করোনা শনাক্ত এক শতাংশের ঘরেই ছিল। তবে গত মাসের দ্বিতীয়ার্ধে এসে সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। গত মাসের শেষদিকে যেখানে দৈনিক রোগী শনাক্ত পাঁচশ’র ঘরে ছিল, সেখানে ধারাবাহিকভাবে বেড়ে সেই সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়ে যায় ১০ জানুয়ারি।
গতকাল ২৫ জানুয়ারি দৈনিক দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড হয়। এদিন মোট ১৬ হাজার ৩৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডও-মিটারের আজ বিকেলের তথ্য অনুযায়ী বিশ্বে করোনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫৬ লাখ ৩৬ হাজার ৬৪ জনের। সুস্থ হয়েছেন ২৮ কোটি ৪৮ লাখ ৯৬ হাজার ৫৬৭ জন। ভাইরাসে মোট সংক্রমিত হয়েছেন ৩৫ কোটি ৯৬ লাখ ৬১ হাজার ৩৮৬ জন।
