পদ্মা সেতুতে থিম সংয়ের শুটিং কণ্ঠশিল্পীদের
বহুল প্রত্যাশার পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী উপলক্ষে থিম সং তৈরি করেছেন দশ শিল্পী। এরইমধ্যে গানের শুটিংও শেষ হয়েছে সেতু এলাকায়।
সাবিনা ইয়াসমিন, রফিকুল আলম, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, কুমার বিশ্বজিৎ, বাপ্পা মজুমদার, মমতাজ থেকে আজকের দিলশাদ নাহার কনা, ইমরান মাহমুদুল আর নিশীতা বড়ুয়ারা এসেছিলে পদ্মা পাড়ে। তারা রেকর্ড করলেন, গর্বের পদ্মা সেতু নিয়ে থিম সং।
উদ্বোধনের আগেই পদ্মা সেতুর ওপর হাঁটছেন, গাইছেন আর ফটোশুটে মেতেছেন! সবাই মিলে দিনভর কাটিয়েছেন স্বপ্নের সেতুর ওপর। শিল্পীরা বললেন, তারা এই সঙ্গীতে অংশ নিয়ে অংশ হয়ে গেলেন একটি ইতিহাসের। কবীর বকুলের লেখা থিম সংয়ে সুর করেছেন কিশোর দাস।
জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, আমি শুধু এতটুকু বলবো যে, এটা বাংলাদেশের শুধু একটা ইতিহাস না, এটা একটা গৌরবের ইতিহাস।
আরেক জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা বলেন, আজকে যখন এতো কাছ থেকে দেখলাম সেতুটা, তখন সত্যিই অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করছে।
এই কণ্ঠশিল্পী আরও বলেন, পদ্মা সেতুকে ঘিরে যে থিম সং হচ্ছে, সেটার সঙ্গে থাকতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। যাদের সঙ্গে গাইছি, কাজ করছি, অনেক বড় মানুষ, তাদের সঙ্গে কাজ করতে পেরেও অনেক ভালো লাগছে।
পদ্মা সেতুর থিম সং থেকে ‘জয় বাংলার জয়, ধ্বনিত জয়তু, বঙ্গবন্ধু দিয়েছেন দেশ, তুমি দিলে মর্যাদা, পদ্মা সেতু’ লাইনটি গেয়ে শোনান গীতিকার কবির বকুল নিজেই। বলেন, দুটি কারণে আমরা সত্যিই সৌভাগ্যবান।
প্রথম কারণ, স্বপ্নের এই সেতুটি খুলে দেওয়ার আগেই আমরা সেটিতে পা ফেলতে পেরেছি। এটা অন্যরকম অনুভূতির বিষয়। দ্বিতীয় কারণ হলো, এ সেতুকে ঘিরে যে থিম সং, তা লেখার সুযোগ হয়েছে আমার। যা সুর করেছেন কিশোর। আর গেয়েছেন দেশ সেরা দশ শিল্পী।
গানটির সুরকার কিশোর বলেন, বিশেষ এই গানটির সুর-সংগীত তৈরি করার পাশাপাশি গাইবার সৌভাগ্য হলো আমার। এরপর পদ্মা সেতুতে এসে ভিডিওতে অংশ নেয়ার সুযোগ পেলাম। এ এক অসাধারণ অনুভূতি। এক জীবনে এমন সৌভাগ্যের দেখা খুব কম মানুষই পায়।
সেতু মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির যৌথ আয়োজনে তৈরি হচ্ছে ‘পদ্মা সেতু’ নামের এই ভিডিওটি। যা ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে বাজবে। প্রচার হবে দেশের প্রায় সব অডিও-ভিডিও গণমাধ্যমে।
একই দিনে পদ্মা পাড়ে মিলিত হন ঢাকা ও মুন্সীগঞ্জের আড়াইশ’র বেশি সাংবাদিক। তাদের সেতু প্রান্তে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সেতু মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আগামী ২৬ জুন সকাল ৬টা থেকে সেতু দিয়ে গাড়ি চলাচল করবে। পদ্মা সেতুর স্থায়িত্ব ধরা হয়েছে ১০০ বছর।
সেতুমন্ত্রী জানান, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে খুবই জমকালো। মূল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ৬৪টি জেলাতেও দেখানোর ব্যবস্থা থাকবে। অর্থাৎ দেশজুড়ে উৎসব পালন করা হবে।
২৫ জুন সকাল ১০টায় মুন্সীগঞ্জ প্রান্তে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর সেতু পেরিয়ে প্রধানমন্ত্রী যাবেন জাজিরা প্রান্তে। এ প্রান্তে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনের পর দলীয় জনসভায় যোগ দেবেন তিনি।
এসএ