রুটিন করে লোডশেডিংয়ের পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর
মানুষের কষ্ট কিছুটা লাঘবের জন্য বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের ক্ষেত্রে এলাকাভিত্তিক রুটিন করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের উদ্বোধনকালে তিনি আরো বলেন, আমাদের এখন একটাই উপায়, কখন, কোন এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং হবে সেটার একটা রুটিন তৈরি করা, যাতে মানুষ প্রস্তুত থাকতে পারে। মানুষের কষ্টটা যেন আমরা লাঘব করতে পারি।
সে বিষয়ে আমাদের এখন নজর দিতে হবে। আমি আশা করি, দেশবাসী আমাদের সহযোগিতা করবেন।
সবাইকে বিদ্যুৎ-গ্যাস ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সবাইকে আহ্বান করছি, প্রত্যেকের নিজ নিজ সঞ্চয় বাড়াতে হবে। খরচের ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হতে হবে। যতটুকু পারা যায় বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হতে হবে। বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে হবে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্ব একটা ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সবার ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছি ঠিকই, কিন্তু বর্তমানে আমাদের লোডশেডিং করতেই হবে; উৎপাদনও সীমিত রাখতে হবে, যাতে আমাদের এই ভর্তুকিটা না দিতে হয়।
বৈশ্বিক সংকটময় পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, বিদ্যুৎ উৎপাদন আমরা বাড়িয়েছি। সেই বিদ্যুৎ আমরা দেশের প্রতিটা ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি। তবে আপনারা জানেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে, সে যুদ্ধ, আর যুদ্ধ শুরুর পরে রাশিয়ার ওপর আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দিল, ইউরোপ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এর ফলাফলটা এই দাঁড়িয়েছে, এখন তেলের দাম বেড়ে যাচ্ছে, ডিজেলের দাম বেড়ে যাচ্ছে। প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেড়ে যাচ্ছে। এলএনজির দাম বেড়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ূআমরা ডিজেলের ওপর অনেক নির্ভরশীল। সেই ডিজেলের দাম আরও বাড়বে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এই নিষেধাজ্ঞা যদি না হতো তাহলে কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধও করতো এবং তাদের থেকে তেল, সার, গম এগুলোর সরবরাহ ঠিক থাকতো। যদিও জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্যোগে একটা চ্যাম্পিয়ন গ্রুপ হয়েছে। তাতে আমি সদস্য হিসেবে আছি। সেখানে আলোচনা হয়েছে- সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য এবং সার যাতে আনতে দেয় সে বিষয়ে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার কারণে এবং সুইফট বন্ধ করার কারণে আমরা ডলার দিয়ে রাশিয়া বা ইউক্রেন থেকে জিনিস কিনতে পারছি না। কাজেই ফাইন্যান্সিয়াল মেকানিজম কী হবে, এর উত্তর কেউ দিতে পারেনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষিতে আমাদের ভর্তুকি দিতে হচ্ছে, বিদ্যুতে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। তারপরও আমরা সাধারণ মানুষকে নগদ অর্থ দিচ্ছি। এখন আমরা উপকারভোগী কার্ড করে দিচ্ছি, রেশন কার্ডের মতো পারিবারিক কার্ড। যেখানে স্বল্প মূল্যে প্রায় এক কোটি মানুষের জন্য কার্ড করে দেওয়া হয়েছে। যাতে তারা স্বল্প মূল্যে খাদ্যপণ্য কিনতে পারে, সেই ব্যবস্থাও আমরা করে দিচ্ছি। মানুষের কল্যাণে যা যা করার সেই ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি।
এসএ