প্রধান খবরবগুড়া জেলা

এক ঘণ্টা পর পর লোডশেডিংয়ের কবলে বগুড়াবাসী

বগুড়ায় এক ঘণ্টা পর পর লোডশেডিংয়ের কারণে চরম ভোগান্তিতে এ জেলার মানুষজন।

বিদ্যুৎ সংকট সমাধানে মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) থেকে এলাকাভিত্তিক দুই ঘণ্টা করে লোডশেডিং হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

তবে দিনে দুই ঘণ্টার কথা উল্লেখ থাকলেও বগুড়ায় দিনে চারবার বা তার বেশি সময় কারেন্ট থাকছে না বেশির ভাগ এলাকায়। এই অতিরিক্ত গরমে কারেন্ট না থাকায় শিশু, বৃদ্ধ, প্রবীণরাও হতাশ প্রকাশ করেছেন। পড়াশুনার ঘাটতিসহ অসহনীয় হয়ে উঠেছে জনজীবন।

মালগ্রাম এলাকার আয়েশা আক্তার বলেন, নির্দিষ্ট করে দিনে দুই ঘণ্টা কারেন্ট না থাকলে সেটা স্বাভাবিক নিয়মে মেনে নেয়া যায়। কিন্তু সরকার থেকে দুই ঘন্টা নির্ধারণ করা থাকলেও আমাদের এলাকায় দিনে চারবারের বেশি সময় কারেন্ট থাকে না এবং দীর্ঘসময় পর ফিরে আসে। আমাদের ১ মাস বয়সী নবজাতক সন্তান অতিরিক্ত গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে পাইকারপাড়া এলাকার ফুল মিঞা বলেন, আমার বয়স ৭৫ বছর। আমি হার্টের রুগি। অতিরিক্ত গরমে খুব অসস্তি বোধ করি। দিনে তিন থেকে চারবারো কারেন্ট চলে যায়। সেই সময়টুকু মনে হয়ে পেরুতে চায় না। দুইদিন হচ্ছে আমি গরমের কারনে অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পরেছি।

এ বিষয়ে কথা হলে নেসকো অফিসের নির্বাহী প্রৌকশলী মোঃ আব্দুল মোনাফ বগুড়া লাইভকে জানান, প্রয়োজনের তুলনায় কম মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবারহ থাকার কারনে যে ঘাটতি তৈরি হচ্ছে সেটা পূরনের লক্ষে নির্দিষ্ট সময়ের অতিরিক্ত লোডশেডিং রাখতে হচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানে কিছুটা সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এসএ

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button