বগুড়ায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে যুবক খুন: অভিযুক্ত আসামি গ্রেফতার

বগুড়ার গাবতলীতে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংগঠিত দ্বন্দ্বে খুনের ঘটনায় মো. আ. মোতালেব ওরফে খোকন (৩২) নামের অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, ১৬ জুলাই বিকেলে ঈদ উপলক্ষে স্থানীয় যুব সংঘের উদ্দ্যোগে ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় গ্রামের যুবকরা দুই দলে বিভক্ত হয়ে অংশ নেয়। আসামি মো. আ. মোতালেব ওরফে খোকন ও মো. নাহিদ (নিহত মো. মামুনের মামাতো ভাই) একই দলের খেলোয়াড় ছিলেন।
‘তাদের দল ২-১ গোলে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় খেলা শেষ হওয়ার প্রায় এক মিনিট আগে ফাউল হতে একটা পেনাল্টি শট পায়। এর আগে, স্ট্রাইকার হিসেবে দলের একমাত্র গোলটি করেন নাহিদ। তাই ফলাফলে সমতা আনার জন্য পেনাল্টি শটটিও তিনি নেবেন বলে দলের অধিনায়কসহ সবাই একমত হন। কিন্তু গ্রেফতার খোকন নিজেই পেনাল্টি শট নেবে বলে গোঁয়ার্তুমি করতে থাকে।’
‘এরপর নাহিদ পেনাল্টি শট করার জন্য প্রস্তুতি নিলে খোকন তাকে মাঠের মধ্যে ধাক্কা দিয়ে ফেলে মারধর করতে থাকে। তখন মো. মামুন তার মামাতো ভাইকে আঘাত করার প্রতিবাদ করেন। পরবর্তীতে সবারর প্রচেষ্টায় বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়া হয়।’
মুক্তা ধর বলেন, খেলায় মামুনের সঙ্গে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে তাকে শিক্ষা দেয়ার জন্য পরিকল্পনা করে খোকন। এরপর জনৈক পিন্টু মিয়ার দোকানে ফুটবল খেলার বিরোধকে কেন্দ্র করে মামুনকে ধারালো দায়ের কোপে গুরুতর জখম করে খোকন।মামুনকে রড ও জিআই পাইপ দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে খোকন।
স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে চিকিৎসা নেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১৭ জুলাই রাতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
এ ঘটনার একপর্যায়ে তদন্তে ও সংগৃহীত বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ঘটনার সঙ্গে খোকনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এরপর অভিযান চালিয়ে তাকে ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এসএ