দাপুটে জয়ে সিরিজ বাঁচিয়ে রাখলো বাংলাদেশ

মোসাদ্দেক হোসেনের দুর্দান্ত বোলিংটা অপ্রত্যাশিত পাওয়া। ওই তুলনায় মুস্তাফিজ-শরিফুল ভালো করেননি। ব্যাটিংয়ে আবার অপ্রত্যাশিত কিছু হয়নি। অভিজ্ঞ লিটন দাস ও আফিফ হোসেন রান করেছেন। তাদের ব্যাটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৬ বল থাকতে ৭ উইকেটে জিতে সিরিজে ফিরেছে বাংলাদেশ।
হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচেও টস পক্ষে আসেনি বাংলাদেশের। শুরুতে বোলিং করতে নামতে হয় নুরুল হাসান সোহানের দলের। বল হাতে নিয়ে ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট নেন মোসাদ্দেক। প্রথম ওভারে ৫ রানে তিনি নেন দুই উইকেট।
পরের তিন ওভারেও জিম্বাবুয়ে শিবিরে ধাক্কা দেন মুসা। নিজে ২০ রানে ক্যারিয়ার সেরা পাঁচ উইকেট তুলে নেন। জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ তখন ৬.৫ ওভারে মাত্র ৩১। এরপর সিকান্দার রাজা ক্রিজে দাঁড়িয়ে যান। প্রথম ম্যাচে ৬৫ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলা মিডল অর্ডার ব্যাটার এই ম্যাচে করেন ৬২ রান।
রাজার ৫৩ বলে চারটি চার ও দুই ছক্কার ইনিংসের সঙ্গে ৮০ রানের জুটি দেন রায়ান বার্ল। তিনি খেলেন ৩২ রানের ইনিংস। তাদের ব্যাটে ভর করে ৮ উইকেটে ১৩৪ রানের লড়াই করার মতো পুঁজি পায় স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে।
তবে ব্যাট করতে নেমে লিটন দাস দারুণ ব্যাটিং করে ওই রান মামুলি বানিয়ে ফেলেন। ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার ৭ রানে ফিরলেও ওপেনিং জুটিতে ৩৭ রান পায় বাংলাদেশ। সাবলীল ব্যাটিং করে যাওয়া লিটন ফিরে যাওয়ার আগে ৩৩ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন। ছয়টি চার ও দুটি ছক্কা মারেন তিনি। পরের ওভারেই এনামুল হক ফিরে যান ১৫ বলে ১৬ রান করে।
বাকি পথটা পাড়ি দেন চারে নামা আফিফ হোসেন ও পাঁচে নামা নাজমুল শান্ত। আফিফ ২৮ বলে ৩০ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। একটি চার ও একটি ছক্কা মারেন তিনি। শান্তর ব্যাট থেকে আসে ২১ বলে ১৯ রান। এক চারে ধীরে খেলে দলকে জয়ের বন্দরে ভেড়ান তিনি।
মোসাদ্দেকের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সঙ্গে ভালো করেছেন অন্য স্পিনার শেখ মাহেদিও। তিনি ৩ ওভারে মাত্র ১০ রান খরচ করেন। মুস্তাফিজ ও হাসান মাহমুদ ৪ ওভার করে হাত ঘুরিয়ে একটি করে উইকেট নেন। দু’জন যথাক্রমে ৩০ ও ২৬ রান দেন। ওই তুলনায় কিছুটা খরুচে ছিলেন শরিফুল। তিনি ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে উইকেট শূন্য ছিলেন। জিম্বাবুয়ের হয়ে এনগ্রাভা, রাজা ও উইলিয়ামস একটি করে উইকেট নেন।