প্রধান খবরশাজাহানপুর উপজেলা

বগুড়ায় ৪টি ককটেলসহ জামায়াতে ইসলামীর ১০ নেতাকর্মী গ্রেফতার

বগুড়ার শাজাহানপুরে বিস্ফোরক ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের সরঞ্জামসহ জামায়াতে ইসলামীর দশ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন শাজাহানপুর উপজেলার সাজাপুর দাড়িকামারী দক্ষিণপাড়া গ্রামের আব্দুল মতিন (৬৭), সুজাবাদ বালাপাড়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক ঠাণ্ডু (৫০), সুজাবাদ রাজধানীপাড়া গ্রামের মোকাদ্দেসুর রহমান মোত্তাকিম (২৭), সুজাবাদ উত্তরপাড়া গ্রামের বিল্লাল হোসেন (৪২), জামুন্না বগুড়াপাড়া গ্রামের আমিনুল ইসলাম (৫৫), লতিফপুর মধ্যপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলাম (৫২), বেজোড়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের আনছার আলী (৫৮) ও আরাফ (২৭), বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কলতা গ্রামের শফিকুল ইসলাম (৫০) এবং একই উপজেলার কালশিমাটি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম (৪০)।

রোববার ভোরে উপজেলার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের সাজাপুর এলাকার ফটকি ব্রিজের উত্তরপাশের ফাঁকা জায়গা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ জানায়, রাতে শাজাহানপুর থানা পুলিশের একটি টিম জানতে পারে সাজাপুর ৪০-৫০জনের একদল জামায়াত-শিবিরের লোকজন রাষ্ট্রবিরোধী নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার লক্ষ্যে গোপন বৈঠক করছেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযানে থাকা পুলিশ সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। এসময় অন্য নেতকাকর্মীরা পালিয়ে যান।

তাদের কাছ থেকে ৪টি তাজা ককটেল (বিস্ফোরক), ৪টি লোহার শাবল, লোহার হাতুরি ৫টি, লোহার তৈরি ৫টি ছেনি ও বিভিন্ন সাইজের বাঁশ ও কাঠের ১৫ টি লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে। জামায়াত-ছাত্র শিবিরের নেতা-কর্মীরা একত্র হয়ে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রাষ্ট্রবিরোধী নাশকতার পরিকল্পনা ও বিস্ফোরক (ককটেল) উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ সদস্য বাদি হয়ে মামলা করেছেন।

শাজাহানপুর থানার ওসি মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গ্রেফতার করা জামায়াতে ইসলামীর দশ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পূর্বে তাদের বিরুদ্ধে কোন মামলা ছিলো কিনা তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে। গ্রেফতারকৃতদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।

এসএ

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button