বগুড়ায় চার প্রজাতির ৩১৪ বন্যপাখি উদ্ধার, ব্যবসায়ীর ৬ মাসের কারাদণ্ড

বগুড়ায় অবৈধভাবে বন্যপাখি সংরক্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় তার কাছ থেকে ৩১৪টি পাখি উদ্ধার করা হয়।


দণ্ডিত ব্যক্তি নাম আতোয়ার আলী(৫২) দুপচাঁচিয়া উপজেলার গুনাহার ইউনিয়নের ডাঙাপাড়া এলাকার মৃত ওছিমুদ্দীন সাকিদারের ছেলে।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দুপচাঁচিয়া থানা চত্বরে আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী আরো জানান, বগুড়া ডিবির অভিযানে সোমবার রাত পৌণে ৯টার দিকে ডাঙাপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে ৩১৪টি বন্য পাখি আতোয়ার আলীকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানায় যে, সে দীর্ঘ দশ বছর ধরে অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে হরেক প্রজাতির বন্যপ্রাণী আটক করে। পরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চড়া দামে বিক্রয় করে আসছিল।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাকে বন্যপাখি কেনাবেচা ও সংরক্ষণ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুযায়ী তাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন দুপচাঁচিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন জিহাদী।
তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা ৩১৪টি পাখির মধ্যে ফুলমাথা টিয়া ১৪০টি, ৪০টি লাল মাথার টিয়া, তিলা মুনিয়া পাখি ৫০টি এবং ৮৪টি দেশি চাঁদি ঠোট মুনিয়া পাখি রয়েছে। পরে উদ্ধার হওয়া চার প্রজাতির এই বন্যপাখি ডাক বাংলোতে অবমুক্ত করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আহমেদ নিয়ামুর রহমান, দুপচাঁচিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন জিহাদী, আদমদীঘি সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নাজরান রউফ, বগুড়া ডিবির ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ এবং দুপচাঁচিয়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ।
এসএ