জাতীয়

তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে নার্ভাস হওয়ার কিছু নেই: জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

জ্বালানি তেলের বর্তমান মূল্যবৃদ্ধিতে নার্ভাস হওয়ার কিছু নেই বলে মন্তব্য করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে দেশেও তেলের দাম কমানো হবে।

শনিবার সকালে এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি আরো বলেন, আমরা আগে থেকেই বারবার বলে আসছি আমাদের বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে। এখন আমাদের পিঠ ঠেকে গেছে, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে তেলের দাম বাধ্য হয়েই বাড়িয়েছে সরকার।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে ব্যাপক লোকসানের হাত থেকে বাঁচাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের কলকাতায় প্রতি লিটার ডিজেলের মূল্য ১১৪ টাকা, যদি ৯৪ টাকা করে ডলার হয়। এখন ডলারের দাম তো আরও বেড়ে গেছে, সেখানে আমরা ডিজেল বিক্রি করেছি ৮০ টাকায়। এই বিরাট ব্যবধানের কারণে বিশাল পরিমাণ তেল অবৈধভাবে পাচার হওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে। আমরা বিজিবিকে সীমান্তে কড়া পাহারা বসানোর কথা বলেছি।

নসরুল হামিদ বলেন, আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনে মাত্র ১০ শতাংশ ডিজেল ব্যবহার হয়। সবচেয়ে বেশি ডিজেল ব্যবহার হয় পরিবহন খাতে। এজন্য সবাইকে বলি আপনারা যত সম্ভব পারেন তেলের অপচয় কম করেন।

৫ আগস্ট মধ্যরাতে হঠাৎ করে বাংলাদেশে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম ৪২ থেকে ৫২ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়া হয়। ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ৮০ টাকা থেকে ১১৪ টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ এই দাম বৃদ্ধির হার প্রায় ৪২ শতাংশ।

লিটার প্রতি পেট্রলের দাম ৮৬ টাকা থেকে ১৩০ টাকা করা হয়েছে। অকটেনের দাম বেড়েছে ৮৯ টাকা থেকে ১৩৫ টাকা। অর্থাৎ পেট্রল ও অকটেনের ক্ষেত্রে মূল্য বৃদ্ধির হার ৫০ শতাংশেরও বেশি। শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকেই ভোক্তা পর্যায়ে নতুন এই মূল্য কার্যকর হয়েছে।

এসএ

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button