সারাদেশ

প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী

পঞ্চগড়ের আটোয়ারীর ধামোড়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৫)। প্রতারক প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয় সে।

রাতে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় এক ব্যক্তি তাকে উদ্ধার করেন। পরে ওই ছাত্রীকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

শনিবার (৬ আগস্ট) দিনগত রাতে ধামোড় ইউনিয়নের বন্দর পাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

এ ঘটনায় রোববার (৭ আগস্ট) সকালে আটোয়ারী থানায় এজাহার দায়ের করেছে স্কুলছাত্রীর পরিবার।

অভিযুক্তরা হলেন, আটোয়ারী উপজেলার পুরাতন আটোয়ারী মালগোবা গ্রামের মৃত আমিনার রহমানের ছেলে মো. হাসান (২৫) (মূলহোতা), একই এলাকার ফতেহপুর গ্রামের খামির উদ্দিনের ছেলে মো. সবুজ (৩০), আব্দুর রহমান (৫০), তার ছেলে আমিনুল ইসলাম ডিপজল (২৫), খাজিম উদ্দিনের ছেলে মো. নজরুল (৪০) ও কৈলাসের ছেলে ওমর (৩০)।

জানা গেছে, এক বছর আগে মালগোবা গ্রামের হাসানের সঙ্গে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক হয় ওই কিশোরীর। শনিবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে স্কুলে যায় সে (কিশোরী)। দুপুরে মোবাইলে কল দিয়ে দেখা করার কথা বলে তাকে পঞ্চগড়ে ডেকে নেয় হাসান। বিকেলে পঞ্চগড় পৌঁছালে কাজি অফিসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রাতে আটোয়ারী উপজেলার বন্দরপাড়া গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয় কিশোরীকে। সেখানে হাসান ও তার বন্ধু সবুজ ধর্ষণ করেন তাকে। এ সময় ওই এলাকার আব্দুর রহমান, তার ছেলে আমিনুল ইসলাম, তাদের প্রতিবেশী নজরুল ও ওমর সেখানে উপস্থিত হলে হাসান ও সবুজ পালিয়ে যায়। এ সুযোগে তারাও ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণ শেষে তাকে ফেলে সবাই পালিয়ে যায়। গভীর রাতে মান্নান নামে এক পথচারী কিশোরীকে উদ্ধার করে বন্দরপাড়া গ্রামের নায়েব আলীর বাড়িতে নিয়ে যান। পরে নায়েব আলী তার পরিবারের সদস্যদের খবর দিলে তারা আসেন এবং রোববার ভোরে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই ছাত্রীকে।

পঞ্চগড় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী সাংবাদিকদের বলেন, ওই কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে এজাহার গ্রহণ করা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। ইতিমধ্যে দু’জনকে আটক করা হয়েছে।

ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেফতারের পর সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button