জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বগুড়ায় জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের বিশেষ সভা

আগামী ১৯শে আগস্ট শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসবকে সামনে রেখে বগুড়ায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জেলা শাখার বিশেষ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে শহরের সাতমাথা সনাতন ধর্ম মন্দিরে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সঞ্চালনা করেন সংগঠনের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্মল রায়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি সাগর কুমার রায় বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। প্রতি বছর উৎসবমুখরভাবে এই দিনটি উদযাপিত হয় এইবারও তার বিকল্প হবেনা। সেই লক্ষ্যে জেলার সভাপতি হিসেবে তিনি পূজা উদযাপন পরিষদের সকল উপজেলা ও জেলার নেতৃবৃন্দদের নিজ নিজ দায়িত্ব সুন্দরভাবে পালন করার আহবান জানান।
বগুড়ার ১২টি উপজেলায় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে প্রাণবন্তভাবে যেন সনাতন ধর্মাবলম্বী সকলে যেন এই উৎসব নির্বিঘে উদযাপন করতে পারে সেই লক্ষ্যে সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে এবং শেষ পর্যন্ত সবকিছু ভালভাবেই সম্পন্ন হবে মর্মে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
শুক্রবারের বিশেষ সভায় সাংগঠনিক বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরে আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা শাখার সাবেক সভাপতি দিলীপ কুমার দেব, কেন্দ্রীয় সদস্য সুকুমার সাহা, সংগঠনের জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ যথাক্রমে সাধন চক্রবর্ত্তী, ধন্য গোপাল সিংহ, সমর দাস, অশোক সাহা, পদ্যুৎ চাকী, পরিমল প্রসাদ রাজ, তাপস নিয়োগী, জাতীয় ক্রীড়াবিদ গোপাল তেওয়ারী, তাপস চক্রবর্ত্তী, কালাচাঁদ সাহা, অসীম দাস, প্রভাত সাহা, অসীম কুমার জৈন, রাম নারায়ণ কানু, সংগ্রাম কুন্ডু, গোবিন্দ ঘোষ, তাপস সরকার, মিহির সরকার, সুকুমার মোহন্ত, বাপ্পী চৌধুরী, গৌতম দত্ত, কমল দত্ত, প্রদীপ পাল, মানিক সরকার প্রমুখ।
সভায় জন্মাষ্টমী উৎসবকে ঘিরে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। যার মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো- বগুড়া শহরের সকল মন্দির থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বী ভক্তবৃন্দরা স্ব স্ব ব্যানার নিয়ে প্রতিবছরের ন্যায় সকাল সাড়ে ৭ টায় সনাতন ধর্ম মন্দিরে উপস্থিত হবেন এবং সকল মন্দিরের ভক্তবৃন্দরা আসলে বগুড়া জিলা স্কুল মাঠ থেকে একত্রে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করবে। এছাড়াও একই দিন সন্ধ্যায় প্রতিটি মন্দিরে শ্রী কৃষ্ণের বিশেষ পূজার ব্যবস্থা করা হবে যেখানে দেশ ও দশের শান্তিকল্পে প্রার্থণা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় উপজেলা কমিটিগুলোকে নিজ নিজ উপজেলায় স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে ধর্মীয় ভাবাগাম্ভীর্য বজায় রেখে জন্মাষ্টমীর সকল আয়োজন সম্পন্ন করার বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়।
এসএ