হুমায়ুন আজাদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
প্রখ্যাত কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার ও ভাষাবিজ্ঞানী হুমায়ুন আজাদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বইমেলা প্রাঙ্গণে তিনি প্রাণঘাতী হামলার শিকার হন। থাইল্যান্ডে চিকিৎসার পর তিনি ‘পিইএন’-এর ফেলোশিপে জার্মানিতে পাড়ি জমান। জার্মানির মিউনিখ শহরে ২০০৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
হুমায়ুন আজাদ ১৯৪৭ সালের ২৮ এপ্রিল বিক্রমপুরের রাড়িখাল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। চট্টগ্রাম কলেজ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পর ১৯৭৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে যোগ দেন এবং ১৯৮৬ সালে অধ্যাপক হন।
হুমায়ুন আজাদের কাব্যগ্রন্থের মধ্যে ‘অলৌকিক ইস্টিমার’, ‘জ্বলো চিতাবাঘ’, ‘যতোই গভীরে যাই মধু যতোই ওপরে যাই নীল’, ‘আমি বেঁচেছিলাম অন্যদের সময়ে’ উল্লেখযোগ্য। হুমায়ুন আজাদের জনপ্রিয় উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে ‘ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল’, ‘সব কিছু ভেঙে পড়ে’, ‘মানুষ হিশেবে আমার অপরাধসমূহ’, ‘যাদুকরের মৃত্যু’, ‘শুভব্রত, তার সম্পর্কিত সুসমাচার’, ‘রাজনীতিবিদগণ’, ‘কবি অথবা দণ্ডিত অপুরুষ’, ‘ফালি ফালি করে কাটা চাঁদ’। ভাষাতত্ত্ব বিষয়ক তার প্রসিদ্ধ তিনটি গ্রন্থ বাংলা ভাষার শত্রুমিত্র, ‘তুলনামূলক ও ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান’ ও ‘অর্থবিজ্ঞান’ বিশেষভাবে সমাদৃত।
হুমায়ুন আজাদের সাহিত্য-সমালোচনা ও মননশীল রচনার মধ্যে ‘শামসুর রাহমান/নিঃসঙ্গ শেরপা’, ‘বিমানবিকীকরণ ও অন্যান্য প্রবন্ধ’, ‘ভাষা-আন্দোলন : সাহিত্যিক পটভূমি’, ‘নরকে অনন্ত ঋতু’ উল্লেখযোগ্য। শিশু-কিশোরদের জন্য লেখা ‘লাল নীল দীপাবলি’, ‘ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না’, ‘কতো নদী সরোবর’, ‘আব্বুকে মনে পড়ে’, ‘বুকপকেটে জোনাকিপোকা’ প্রভৃতি ব্যাপকভাবে সমাদৃত।
সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯৮৬ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। লেখক হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তার পাশাপাশি তুমুলভাবে বিতর্কিতও হন তিনি।