বগুড়ায় স্ত্রী’র দাফনের আগে লাশ রেখে পালিয়েছেন স্বামী

বগুড়ার সদরে দাফনের আগে স্ত্রী নাজমা বেগম (৩২) লাশ রেখে পালিয়েছেন স্বামী শহীদ হোসেন।
বুধবার (২৪ আগস্ট) উপজেলার লাহেড়ীপাড়া ইউনিয়নের সাতশিমুলিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
নাজমা বেগম সাতশিমুলিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের শহিদ হোসেনের স্ত্রী এবং বগুড়া সদরের গোকুল মধ্যপাড়ার কামাল হোসেনের মেয়ে।
জানা গেছে, শহীদ হোসেন প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে ১৪ বছর আগে নাজমা বেগমকে বিয়ে করে। তাদের সংসারে দুইটি কন্যা সন্তান রয়েছে। গত ছয় মাস আগে স্বামী- স্ত্রী ঢাকার হেমায়েতপুর এলাকায় একটি গার্মেন্টেসে কাজ নিয়ে সেখানেই বসবাস করতেন। ওই এলাকায় নাজমা বেগমের শ্বাশুড়িও বসবাস করে গার্মেন্টসে কাজ করেন।
নাজমার ভাই সোবহান হোসেন জানান, ‘আমার বোন ও দুলাভাই ঢাকার সাভার হেমায়েতপুরে থাকেন। হুট করে আমাদের মুঠোফোনে জানানো হয় আপা মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে ডায়রিয়াতে মারা গিয়েছেন।
এরপর সকাল ৭ টার দিকে দুলাভাই সাতশিমুলিয়া তার নিজ বাড়িতে লাশ নিয়ে আসেন। স্বাভাবিকভাবেই আমরা দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।
তবে আপার লাশ ধোঁয়ানোর সময় দেখা যায় তার পুরো শরীরে আঘাতের চিহ্ন। এসময় আমরা লাশ দাফনে বাঁধা দিলে দুলাভাই সেখান থেকে পালিয়ে যান।’
নাজমার ভাই সোবহান আরো জানান, আপা ও দুলাভাইয়ের মধ্যে প্রায় ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকতো৷ এরআগে আপার গায়ে দুলাভাই আগুন দিয়েছিলেন। ওই ঘটনা পারিবারিকভাবে মীমাংসা করা হয়।
পুলিশের এসআই জাকির আল-আহসান বলেন, নাজমার পরিবারের দাবি ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়ায় লাশ ময়নাতদন্তে নেয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। নাজমার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এসএ