ক্রিকেটখেলাধুলাপ্রধান খবর

শ্রীলঙ্কাকে ১৮৪ রানের বড় লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ

বাংলাদেশের ওপেনারদের রানের গতি শেষ পর্যন্ত জারি রেখেছিলেন আফিফরা। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল টাইগাররা। ওপেনিং জুটি বেশিক্ষণ স্থায়ী ছিল না, তবে রানের গতি ছিল। সাব্বির ফিরে গেলে ১৯ রানেই ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। অন্য প্রান্তে তবু থামেনি মিরাজের ঝড়।১০ ওভারে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ৮৫ রান।

তিন বছর পর টি-টোয়েন্টি দলের জার্সি গায়ে জড়ানোটা রাঙানো হয়নি সাব্বিরের। টিকেছিলেন মাত্র ৬ বল। ৫ রান করে ফেরার আগে মেরেছিলেন একটি চার। ওপেনিংয়ে নেমে সাব্বির ব্যর্থ হলেও অন্য প্রান্তে রানের চাকা সচল রাখেন মেহেদী মিরাজ। ২৬ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ৩৮ রান করেন এই অলরাউন্ডার। তবে হাসারাঙ্গার গুগলিতে সুইপ করতে গিয়ে মিস করে যান মিরাজ। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হয়নি শ্রীলংকাকে। বোল্ড হয়ে ফিরে যান তিনি।

মিরাজের বিদায়ের পর দ্রুতই ফিরে যান মুশফিকুর রহিমও। চামিকা করুনারত্নের শর্ট লেংথের কট বিহাইন্ড হন তিনি। পরপর ২ ওভারে ২ উইকেটে হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেই চাপ সামলাতে মারমুখি হন সাকিব আল হাসান। কিন্তু সফল হননি। একাদশতম ওভারের তৃতীয় বলেই ফিরে যেতে হয়েছে তাকে। ফেরার আগে ২২ বলে ৩ চারে ২৪ রানের ইনিংস খেলেন।

তবে আফিফ হোসেনের ব্যাট থেমে থাকেনি। সঙ্গে চলে মাহমুদউল্লাহর ব্যাটও। দুজনে মিলে গড়েন ৫৭ রানের জুটি। যে রিয়াদের ব্যাটিং নিয়ে নিয়মিতই সমালোচনা হচ্ছিল, সেই রিয়াদও খেলেন ১২৩ স্ট্রাইক রেটে। ২২ বল স্থায়ী ইনিং এক ছক্কা ও এক চারে ২৭ রানের একটি ইনিংস খেলেন তিনি। যে হাসারাঙ্গাকে মেরে রানের গতি বাঁড়িয়েছিলেন, সেই লেগ স্পিনারের ওভারেই ফিরে যান রিয়াদ ক্যাচ দিয়ে।

তবে রিয়াদের আগেই আউট হয়েছিলেন আফিফ হোসেন। ২২ বলে ২ ছক্কা ও ৪ চারে ৩৯ রান করেন তিনি। শেষ বেলায় মোসাদ্দেক খেলেন ৯ বলে ২৪ রানের ঝড়ো একটি ইনিংস। ছিল দৃষ্টিনন্দন চারটি বাউন্ডারি। সঙ্গে বাদ যাননি তাসকিন আহমেদও। এক ছক্কায় তাসকিন খেলেন ৬ বলে ১১ রানের ইনিংস। তাতে শেষ ১০ ওভারে বাংলাদেশ পায় ৯৮ রান। ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮৩।  

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button