রংপুরে সড়ক দুর্ঘটনা: নেশা করে গাড়ি চালাচ্ছিলেন চালক

রংপুরের তারাগঞ্জের সলেয়াশাহ এলাকায় দুই বাসের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় চালকের বেপরোয়া ড্রাইভিংকে দুষছেন যাত্রীরা। তাদের অভিযোগ, জোয়ানা পরিবহন বাসের চালক মাদক সেবন করে গাড়ি চালাচ্ছিলেন।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, ‘জোয়ানা পরিবহনের বাসের চালক মাদক সেবন করে গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলে বাসা থাকা যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন। এমনকি তার সহযোগীও মাদক সেবন করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে, দুর্ঘটনায় নিহত নয়জনের মধ্যে সাতজনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। বাকি দুজনের পরিচয় এখনও মেলেনি। তাদের লাশ ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে। আহত বাকিদের মধ্যে দুয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
যাদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে তারা হলেন- নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক ওলিউর রহমান জুয়েল, উপজেলার পলাশবাড়ি গ্রামের বিনোদচন্দ্রের ছেলে ধনঞ্জয় চন্দ্র, সয়ারকাজি পাড়ার কাছিম উদ্দিনের ছেলে আনিসুর রহমান, হাড়িয়ালকুঠি ঝাকুয়া পাড়া গ্রামের মজিবল হকের ছেলে আনোয়ার হোসেন ও সাদেক আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম খোকন এবং গাইবান্ধা জেলার উত্তর কিতাবী গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে সাদেক আলী, নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার কোন্দলপাড়া গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে মোহসীন আলী সাগর।
পুলিশ জানান, সাতজনের লাশ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি দুজনের পরিচয় এখনও মেলেনি। তাদের লাশ ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে।