আন্তর্জাতিক খবরপ্রধান খবর

টুইন টাওয়ার হামলার ২১ বছর

আজ থেকে ২১ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে ঘটেছিল এক ভয়াবহ ঘটনা। যে ঘটনায় হতবিহ্বল হয়েছিল ঘোটা বিশ্ব। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের দুটি আকাশচুম্বী ভবন, পেন্টাগনসহ কয়েকটি স্থানে বিমান হামলা চালানো হয়। যাতে নিহত হন কয়েক হাজার মানুষ।

মার্কিন সরকারি ভাষ্যে দাবি করা হয়, চারটি মার্কিন যাত্রিবাহী বিমান ছিনতাই করে এই হামলা চালানো হয়। এর মধ্যে দুটি বিমান ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের উত্তর ও দক্ষিণ টাওয়ারে ঢুকে পড়ে। গুড়িয়ে যায় ভবন দুটি।

আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ছিনতাই করা আরেকটি বিমান নিয়ে হামলা চালানো হয় মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগনে। আর যাত্রীদের চেষ্টায় নির্ধারিত স্থানে হামলা চালাতে ব্যর্থ হয়ে পেনসিলভেনিয়ার আকাশে বিধ্বস্ত হয় চতুর্থ বিমানটি।

একথা বলা যায়, নাইন ইলেভেনের সেই হামলা পুরো পৃথিবীকে বদলে দিয়েছিল। বিশ্ব আর আগের স্থানে থাকেনি। অথচ কারা এই হামলা চালিয়েছিল, কেন চালিয়েছিল, নেপথ্যে কারা ছিল, তা এই ১৫ বছরেও নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে বিতর্ক রয়েই গেছে।

ঘটনায় সে সময়ের মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ নতুন ‘ক্রুসেড’ শুরুর ঘোষণা দেন। আর এখান থেকেই শুরু হলো যুক্তরাষ্ট্রের বহুল বিতর্কিত সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান। তাতেও নিহত হয়েছে অনেক মানুষ। অনেক নাটকীয়তার পর অবশেষে পাকিস্তানে লাদেনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে শেষ হয় একটি অধ্যায়ের।

এছাড়া এ জাদুঘরে রয়েছে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার টাওয়ারের ধ্বংসাবশেষসহ হামলার ঘটনায় নিখোঁজদের পোস্টার এমনকি উদ্ধারকাজ চালাতে গিয়ে যারা মারা গেছেন সে সব উদ্ধারকর্মীদের নাম।

নাইন-ইলেভেন আজও রহস্যাবৃত। আজ অবধি জানা যায়নি নাইন-ইলেভেনের প্রকৃত রহস্য। ফলে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি কী ছিল নাইন-ইলেভেনের মনে, আর এ ঘটনার মধ্য দিয়ে আক্রমণকারীরা আমেরিকাকে কি বার্তাই বা দিতে চেয়েছিলেন- নেপথ্যে কী ছিল আজও তা পরিষ্কার হয়নি।

১৯৪১ সালে মার্কিন পার্ল হার্বার পোর্টে জাপানি হামলার পর এটাই ছিল আমেরিকায় বড়ো ধরনের কোনো হামলা।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button