আফিফ-সোহানের ব্যাটে বড় লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি হিসেবে দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। তাতে ত্রিদেশীয় সিরিজের আগেই নিজেদের ঝালিয়ে নিতে পারছেন লাল-সুবজরা। অন্যদিকে টিম ম্যানেজমেন্ট সুযোগ পাচ্ছে টি-টোয়েন্টিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর। তাই চোট কাটিয়ে লিটন দাস ফিরে এলেও এশিয়া কাপের শেষ ম্যাচের মতোই উদ্বোধনী জুটি শুরু করেছে বাংলাদেশ।তবে হতাশ করেছেন টপ অর্ডাররা। তবে ইনিংসের শেষ বেলায় আফিফ-সোহানের ব্যাটে দেড়শো ছাড়িয়েছে টাইগাররা।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠানো হলো মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাব্বির রহমানকে। লিটনকে নামানো হয় তিন নম্বরে। কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরাতের বোলাররা শুরুতে দারুণভাবে চেপে ধরেছিলেন।
এশিয়া কাপের শেষ ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে মেকশিফট ওপেনার হিসেবে মাঠে নেমে দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মিরাজ। কিন্তু ব্যাটে বৈচিত্র্য আনতে গিয়ে হোচট খায় টাইগাররা। আমিরাতের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে যারপরনাই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই কোনো রান না করে আউট হয়ে যান সাব্বির।মিরাজ করেছিলেন ১৪ বলে ১২ রান। এরপর ৮ বলে ১৩ রান করে আউট হয়ে যান লিটন কুমার দাস। ওপেনিং থেকে তিন নম্বরে নেমে খুব একটা প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি তিনি।
ব্যাটিং ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা দেখালেন ইয়াসির আলী রাব্বিও। ৭ বল খেলে করেছেন কেবল ৪ রান। মেইয়াপ্পনের বলে বোল্ড হয়ে যান রাব্বি। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই ৪৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে টাইগাররা। তবে একপ্রান্ত আগলে থাকেন চারে নামা আফিফ হোসেন। মোসাদ্দেক হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ৩০ রানের পার্টনারশিপ। তবে রান তুলতে ধুকছিলেন মোসাদ্দেক। দলীয় ৭৭ রানে ৮ বলে ৩ রান করে ফিরেন তিনি।
তখন তিন অংকের রানে পৌঁছার আগেই অলআউটের শঙ্কা জেগেছিল। কিন্তু আফিফের সঙ্গে দলের জন্য ত্রাতা হয়ে আসেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। দুজনে মিলে গড়েন ৮১ রানের অনবদ্য জুটি। আফিফ ৫৫ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৭৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। এটিই তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। ২৫ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন সোহান। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল দুই চার ও দুই ছক্কায়।
তাদের ব্যাটে ১৫৮ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ১৫৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। কার্তিক মেইয়াপ্পান দুটি উইকেট শিকার করেন। এছাড়া সাবির, অয়ন ও ফরিদ একটি করে উইকেট নেন।