মরিয়ম মান্নানের মা ফরিদপুর থেকে জীবিত উদ্ধার
খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা এলাকা থেকে ‘নিখোঁজ’ বহুল আলোচিত সেই রহিমা বেগমকে জীবিত উদ্ধারের দাবি করেছে পুলিশ।
শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে তাকে খুলনার দৌলতপুর থানা পুলিশের একটি দল উদ্ধার করে।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দৌলতপুর জোনের এডিসির নেতৃত্বে দৌলতপুর থানা পুলিশ রহিমা বেগমকে জীবিত উদ্ধার করে। তাকে নিয়ে পুলিশের দলটি খুলনায় রওয়ানা দিয়েছে। খুলনায় আনার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে, তিনি আসলে অপহৃত হয়েছিলেন নাকি স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দৌলতপুর থানা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে রহিমা ও তার মেয়েরা অপহরণের নাটক সাজিয়েছিলেন। তিনি মূলত স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন। রাত ২টার মধ্যে তাকে দৌলতপুর থানায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, গত ২৭ আগস্ট নগরীর মহেশ্বরপাশা এলাকার বাড়ির সামনে থেকে রহিমা বেগম নিখোঁজ হন অভিযোগে তার মেয়ে আদুরি আকতার বাদী হয়ে পরদিন দৌলতপুর থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় এ পর্যন্ত ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে ময়মনসিংহের ফুলপুর থানা এলাকায় উদ্ধার হওয়া এক নারীর মরদেহ নিজের নিখোঁজ মা রহিমা বেগম বলে ২২ আগস্ট ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয় তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান। পরদিন ফুলপুর থানায় গিয়ে তিনি ছবি দেখে ও নিহতের পায়জামা দেখে ওই লাশ তার মায়ের বলে দাবি করেন মরিয়ম। তিনি লাশের ডিএনএ-এর সঙ্গে তার ডিএনএ মিলিয়ে দেখারও আবেদন করেন।
এদিকে শনিবার রাতে মরিয়ম মান্নান ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেছেন, মাকে উদ্ধারের খবর পেয়েছি। আমার থেকে খুশি এই মুহূর্তে কেউ নেই। আমি এই মুহূর্তে খুলনা যাচ্ছি।